চার বছর প্রেমের সম্পর্কের পর এবার প্রেমিক শুভ নামে এক পুলিশ সদস্যের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন করছেন ফাতেমা। গতকাল সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চাপাইর ইউনিয়নের রশিদপুরের দরগাচালা এলাকায় আব্দুল বাছেদের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে। প্রেমিকা ফাতেমা উপজেলার বড় কাঞ্চনপুর এলাকার ফজল হোসেনের মেয়ে। এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত চার বছর আগে শুভর সঙ্গে প্রাইভেট পড়াকালে ফাতেমার পরিচয় হয়। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের দু’জনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে মেয়ের বাবা ফজল হোসেন বিষয়টি জানতে পেরে পারিবারিকভাবে ফাতেমাকে আশুলিয়া থানার কবিরপুর গ্রামের সাইদুর হোসেনের সঙ্গে বিয়ে দেয়। বিয়ের এক বছর পর ফাতেমার ঘরে এক কন্যাসন্তান জন্মগ্রহণ করে।
এতেও তাদের প্রেমের সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়নি। ফাতেমা স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি আসলে পুলিশ সদস্য শুভ ফাতেমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যান। পরে দুজনের মধ্যে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন হয়। বিষয়টি স্বামী সাইদুর জানতে পেরে ফাতেমাকে সন্দেহের চোখে রাখেন। গত কয়েক মাস আগে শুভ ও ফাতেমাকে উপজেলার তালতলী এলাকায় আনন্দ পার্কের ভেতরে একটি কক্ষে অনৈতিক কাজে হাতেনাতে ধরে ফেলেন স্বামী। পরে দুই পক্ষ একত্র হয়ে তাদের দুজনের মধ্যে পারিবারিকভাবে বিচ্ছেদ হয়। গত নয় মাস আগে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি পান শুভ। তিনি বর্তমানে শ্রীপুরের পুলিশ লাইন্সে রয়েছেন। ফাতেমার দাবি, পুলিশ সদস্য শুভ চাকরিতে যাওয়ার আগ মুহূর্তে ফাতেমাকে জানিয়ে দিয়েছেন, পারিবারিকভাবে তোমাকে নেয়া সম্ভব হবে না। যদি পারো তুমি আমার বাড়িতে উঠে যেও। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ফাতেমা ওই ছেলের বাড়িতে বিয়ের দাবি নিয়ে অনশন করছেন। এ বিষয়ে প্রেমিকা ফাতেমা বলেন, বিয়ে না হলে আমি এই বাড়িতেই আত্মহত্যা করব। শুভ আমাকে বিয়ে করবে বলে আগের স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েছি। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ার সিকদার বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। শুনে আমি ছেলের বাড়িতে এসেছি। মেয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম নাসিম বলেন, এ বিষয়ে এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।