ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সড়ক যেন মরণ ফাঁদ!

ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন

ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন

দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় শীলকূপ-গন্ডামারা কয়লা বিদ্যুৎ সড়কটি যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়েই সড়কটিতে চলছে যাত্রীবাহী যানবাহন। বৃষ্টি হলেই সড়কটিতে খানাখন্দে হাঁটুজল ভোগান্তিতে কয়েক হাজার মানুষ। শীলকূপ ও গন্ডামারা এই দুই ইউনিয়নের বৃহত্তম জনগোষ্ঠীর সাথে বাঁশখালী প্রধান সড়কের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ‘শীলকূপ টাইমবাজার-গন্ডামারা সংযোগ সড়ক’। এ সড়কটির কাজ কয়েকধাপে শুরু হলেও রাস্তাটি খুঁড়ে কাজ শেষ না করে অদৃশ্য কারণে কাজ ছেড়ে পালিয়েছে ঠিকাদার। স্থানীয় ও উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা যায়, টাইমবাজার থেকে গন্ডামারা ব্রিজ পর্যন্ত সড়ক বর্ধিতকরণসহ পানি নিষ্কাশন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। সে অনুযায়ী ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কের দু’পাশ বর্ধিতকরণে সড়কটির পুনঃনির্মাণ কাজ শুরু হয়। আর এর জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় পৌনে ৪ কোটি টাকা। অভিযোগ রয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স রয়েল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন ২০২৩ সালের ৪ জানুয়ারিতে সড়কের কাজ শুরু করেন। কার্যাদেশ পাওয়া এ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেন্ডার হওয়ার এক বছর পর সড়কের কাজ শুরু করলেও কাজের তৃতীয় ধাপে এসে সড়কের এক-তৃতীয়াংশ কাজই শেষ না করে পালিয়ে যায়। সরেজমিন দেখা যায়, সম্প্রতি ভারি বর্ষণে সড়কের খানাখন্দগুলো পানিতে তলিয়ে যায়। এতে সড়ক দিয়ে চলাচল করা বিভিন্ন স্কুল-মাদরাসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদেরও পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। বিশেষ করে এ সড়ক দিয়ে সরকারি বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়, মনকিচর বড় মাদরাসাসহ বেশ কয়েটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগে যাতায়ত করে। বৃষ্টির মৌসুমে অধিকাংশ শিক্ষার্থী সড়কের নাজেহাল অবস্থার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে অনীহা প্রকাশ করছে। গন্ডামারা আনোয়ারা বেগম স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক ওবাইদুল হক বলেন, ‘শীলকূপ থেকে গন্ডামারায় এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিনই আমি যাতায়ত করি। শীলকূপ টাইম বাজার থেকে গন্ডামার ব্রিজ পর্যন্ত সড়কটির অবস্থা অত্যন্ত বেহাল। এ সড়ক দিয়ে দুই ইউনিয়নের হজার হজার পথচারী ও বাঁশখালী সরকারি বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়সহ আরো ৩০টিরও অধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং উপজেলা সদরে যাতায়াতের একমাত্র সড়ক এটি। এছাড়া এটি গন্ডামারা এস আলম কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। দীর্ঘ কয়েক বছরেও সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় জনমনে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে বাঁশখালী উপজেলা প্রকৌশলী কাজী ফাহাদ বিন মাহমুদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘দুয়েক দিনের মধ্যে সড়কটির রি-টেন্ডার হয়ে যাবে। স্টিমিটও এপ্রোভ হয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টির মৌসুম শেষ হলেই সড়কটির কাজ সংস্কারের জন্য কন্ট্রাক্টর সিলেক্ট হয়ে কাজ শুরু হবে। কাজ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া পূর্বের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ৪০ থেকে ৪৫ লাখ টাকা জরিমানা গুণতে হয়েছে বলেও জানান তিনি।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত