যশোরের কেশবপুরে আষাঢ়ের শেষে জমে উঠেছে পাইকারি কাঁঠালের হাট। চারিদিকে সাজিয়ে রাখা হয়েছে হাজার হাজার রসে ভরা দেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল। দেশের বিভিন্ন জেলার ও উপজেলার ব্যবসায়ীরা এই হাটে কাঁঠাল ক্রয় করতে আসেন। কেশবপুর উপজেলায় উৎপাদিত কাঁঠাল এলাকার চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি করা হচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর কাঁঠালের উৎপাদন ভালো হয়েছে। বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল। এটি মূলত গ্রীষ্মকালীন ফল হলেও এখন সারা বছরই কম-বেশি পাওয়া যায়। কাঁঠালের রসালো কোষ ও চমৎকার স্বাদণ্ডগন্ধের জন্য এ ফলটি খুবই জনপ্রিয়তা রয়েছেন এ উপজেলাজুড়ে সারা দেশে। কাঁঠাল বাংলাদেশের সব এলাকায় কম-বেশি উৎপাদন হয়ে থাকে। এছাড়া কেশবপুর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ১৪৪টি গ্রামের প্রায় এলাকায় কম-বেশি কাঁঠাল হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে কেশবপুর বড় কাঁঠালের হাটে সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, সপ্তাহে ৭ দিনের মধ্যে শনিবার, সোমবার ও বুধবার কেশবপুরে সর্ববৃহৎ কাঁঠালের হাট বসে থাকে। কেশবপুর উপজেলার প্রায় সব এলাকাতেই এমন দৃশ্য চোখে পড়ে। বাগান মালিকরা প্রতিদিন ভোরে বাগান থেকে পাকাণ্ডকাঁচা কাঁঠাল সংগ্রহ করে বিক্রির জন্য ইঞ্জিনচালিত ভ্যান, ঠেলাগাড়ি, আলমসাধু, নছিমন, করিমন, পিকআপে করে নিয়ে আসছেন কাঁঠালের বড় মকাম কেশবপুর শহরে। বর্তমানে এ অঞ্চলে চলছে কাঁঠালের ভরা মৌসুম। এখানকার উৎপাদিত কাঁঠাল মিষ্টি, সুস্বাদু ও স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় হওয়ায় স্থানীয়দের চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কাঁঠালের চাহিদা বেশি। উপজেলার সর্ববৃহৎ কাঁঠালের বাজার বসে কেশবপুর পৌর শহরে। বাজারে কাঁঠালের মৌসুমে প্রতিদিন দিনে রাতে বিক্রি হয় হাজার হাজার কাঁঠাল। সব সময়ই খুচরা কাঁঠালের বেচাকেনা চলে। তবে জমজমাট কাঁঠালপ বাজার থাকে ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। কেশবপুর কাঁঠাল হাটের ইজারাদার মো. জিয়াউর রহমান জানান, এরই মধ্যে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে কাঁঠাল আসতে শুরু করেছে। বাজারের খাজনা কম থাকায় দূর-দূরান্ত থেকে পাইকারিরা ব্যবসায়ীরা আসতে শুরু করেছে। কেশবপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মাহমুদা আক্তার বলেন, এ বছর কাঁঠালের উৎপাদন ভালো হয়েছে।