দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে এই প্রথম বাণিজ্যিকভাবে ফ্রুট ব্যাগিং আম চাষ শুরু হয়েছে। উপজেলার বিন্যাগাড়ী গ্রামে আহসান হাবিব ওরফে সাবু মিয়া সাড়ে ৫ বিঘা জমিতে ব্যানানা ম্যাঙ্গো জাতের ফ্রুট ব্যাগিং আম চাষ শুরু করেছেন। এ পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য হলো বাইরের ক্ষতিকারক পোকামাকড়, বিরূপ আবহাওয়া কিংবা ক্ষতিকারক কোনো কিছুই ব্যাগে প্রবেশ করে আমের ক্ষতি করতে পারে না। উৎপাদিত ফল রপ্তানির চিন্তা মাথায় রেখে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বিষমুক্ত নিরাপদ ফল উৎপাদনের লক্ষ্যে চিরাচরিত কীটনাশকের ব্যবহার কমাতে ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতি। এই আম দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বিদেশেও রপ্তানি হয়। দেশের অন্যান্য জেলার ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতিতে আম চাষ দেখে উপজেলা কৃষি অফিসে পরামর্শ নিয়ে আহসান হাবিব এই প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু করেছেন। চলতি মৌসুমে তার সাড়ে ৫ বিঘা জমিতে ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতিতে আম চাষে তেমন সফলতা না পেলেও পরবর্তী মৌসুমে সাফল্য বয়ে আনবে বলে মনে করেন তিনি। এছাড়াও পরবর্তী মৌসুম থেকে অন্যান্য বাগানগুলোদে এ পদ্ধতি ব্যবহার করার আশা প্রকাশ করছেন। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, তার বাগানে থাকা সাড়ে ৩০০ গাছে ঝুলন্ত আমগুলো বিভিন্ন রঙের টিস্যু ব্যাগ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় ঝুলছে। টিস্যু ব্যাগ খুলে দেখা যায় সতেজ ও সবুজ পরিষ্কার আম। আমের গায়ে কোনো দাগ, ধুলোবালি, পোকামাকড় তো নেই, নেই রোগ বালাইও। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রফিকুজ্জামান জানান, ফ্রুট ব্যাগিংয়ের মাধ্যমে আম চাষ করলে তা হবে মানবদেহের জন্য নিরাপদ। এ পদ্ধতিতে আম চাষ করলে আম সতেজ ও পরিচ্ছন্ন থাকবে। বিষমুক্ত হওয়ায় মানবদেহের জন্য এসব ফল কোন ক্ষতির কারণ হবেনা। তবে তিনি জানান, দেশের অনেক উপজেলায় ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতিতে আম চাষের প্রকল্প থাকলেও ঘোড়াঘাট উপজেলায় এ প্রকল্পের এখনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি।