ঢাকা ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

লালমনিরহাটে ধরলার পানি বিপৎসীমার উপরে

তিস্তার পানি কাছাকাছি
লালমনিরহাটে ধরলার পানি বিপৎসীমার উপরে

গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে দেশের উত্তরাঞ্চলের নদ-নদীগুলোতে পানি বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় লালমনিরহাট জেলাও বন্যার কবলে পড়েছে। যদি এর মধ্যে ভারি বর্ষণ হয় এবং দেশের নদী অববাহিকায় অবস্থিত বন্যাকবলিত জেলাগুলোর বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি না হয় তবে লালমনিরহাট জেলার অপেক্ষাকৃত নিম্নাঞ্চলগুলোতে প্লাবিত হয়ে স্বল্প কিংবা দীর্ঘমেয়াদি বন্যা দেখা দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দেয়া তথ্য অনুসারে ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর তিস্তার পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি রয়েছে। পাউবো জানায়, গত শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় ধরলা নদীর পানি পাটগ্রাম পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৭০ সেমি. নিচে প্রবাহিত হলেও শিমুলবাড়ি পয়েন্টে বিপৎসীমার ১০ সে.মি উপরে প্রবাহিত হয়। শিমূলবাড়ি পয়েন্টে রোববার সকাল ৬টায় বিপৎসীমার ১৬ সেমি. সকাল ৯টায় ১৮ সেমি. এবং দুপুর ১২ টায় বিপৎসীমার ৩৯ সেমি. উপরে প্রবাহিত হয়। এদিকে তিস্তার পানি গত শনিবার সন্ধ্যা ৬টায ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১২ সেমি. নিচে, গতকাল রোববার সকাল ৬ টায় ১৩ সেমি. নিচে, সকাল ৯টায় ১৩ সিমি. নিচে এবং দুপুর ১২ টায় ২৪ সেমি. নিচে প্রবাহিত হয়। আর কাউনিয়া পয়েন্টে শনিবার সন্ধ্যা৬ টায় ২১ সেমি. নিচে, রোববার সকাল ৬টায় ১৩ সেমি. নিচে, সকাল ৯টায় ১১ সেমি. নিচে এবং দুপুর ১২ টায় ১১ সে.মি নিচে রেকর্ড হয়। ধরলার পানি বিপদসীমার উপরে থাকায় লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ও মোগলহাট ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার বেশ কয়েকটি স্থানে ফসলি খেত ও লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। অপরদিকে তিস্তা অববাহিকার লালমনিরহাট জেলার অন্তত ১৫ টি ইউনিয়নের নদীতীরবর্তী ও চরাঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে হাতীবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ি, গড্ডিমারী; আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা এবং সদর উপজেলার রাজপুর, খুনিয়াগাছ ইউনিয়নগুলোর কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার জানান, এই পানি আগামী দুয়েকদিন স্থীতিশীল থাকতে পারে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত