মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে চলছে ছাড়পত্রবিহীন সিসা গালানো কারখানা চরম হুমকির মুখে পরিবেশ। জনবসতিপূনণ ও দু-তিন ফসলি জমির এলাকায় এসব সিসা তৈরির কারখানা স্থাপনের ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিষাক্ত কালো ধোঁয়া ও বর্জ্যে বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ। প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিন্ডারগার্টেন ও মাদ্রাসার কোমলমতি শিক্ষার্থীরা কাশি শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষকবৃন্দ। কৃষকরা মার খেয়ে যাচ্ছে ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে। সরজমিনে গিয়ে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইতিপূর্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত একাধিকবার অর্থদণ্ড আদায় করলে কারখানাগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ থাকে। কয়েক মাস ধরে তাদের কার্যক্রম ফের শুরু করেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সিসা গলানোর পাশাপাশি এসব কারখানায় তামা, কাসা, পিতল, সিলভার গালানো হয় বলে টোকাই এবং সিচকে চোরের উপদ্রব ও বেড়ে গেছে। তৎকালীন নির্বাহী কর্মকর্তা প্রনব কুমার ঘোষ অভিযান চালিয়ে ষোলঘরের কারখানাটি ধ্বংস করে দেন। সম্প্রতি ঐ কারখানাটি সোরহাব আলী নামক জনৈক ব্যক্তি শ্রীনগর মুন্সীগঞ্জ সড়কের কল্লিগাও গ্রামে স্থাপন করে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, এক সময় এসব ঢালাই কারখানা গুলো ডেমরা থানার বিলাঞ্চলে ছিলো। ফসলী জমি ও পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে প্রশাসন জ্বালিয়ে পুরিয়ে ধ্বংস করে দেয়। এরপর থেকেই সোরহাব আলীর নেতৃত্বে শ্রীনগরের বিভিন্ন ফসলের মাঠ ও জনবসতি এলাকায় গড়ে উঠে পরিবেশ বিধ্বংসী এসব অবৈধ কারখানা। এ বিষয়ে সোরহাব আলীর কাছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন, এমনে ব্যবসা করতে আহি নাই। জাগামত দিয়া লাইনঘাট বাইন্ধা বইছি। আপনে অহন যান। ছবি ছুবি তুইল্লেননা। পরিবেশ বিধ্বংসী এসব অবৈধ কারখানার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোশারেফ হোসাইন বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। দু’চার দিনের মধ্যেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।