সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি এখন অপরিবর্তীত রয়েছে। যমুনার তীরবর্তী ৫টি উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যাকবলিত এলাকার প্রায় ১ লাখ মানুষ এখনো পানিবন্দি। গতকাল রোববার যমুনায় পানি বৃদ্ধি না পেলেও শখা নদীগুলোতে পানি বাড়ছে। এতে নিম্নাঞ্চলে বন্যাকবলিত হচ্ছে এবং পাঠদান বন্ধ রয়েছে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, টানা প্রায় এক সপ্তাহে পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণে যমুনার পানি দ্রুত বাড়ছিল এবং যমুনার পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে তিল পাট কাউনসহ বিভিন্ন ফসল ডুবে গেছে এবং নিম্নাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন ঘটেছে। ইতিমধ্যেই বন্যা কবলিত এলাকার বিভিন্ন স্থানে বিশুদ্ধ পানি সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। নদীর তীরবর্তী বেলকুচি, শাহজাদপুর, চৌহালী, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই ভাঙ্গন এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে এবং বহু পরিবার ভাঙ্গন ও বন্যায় মানবেতর জীবন যাপন করছে। তবে গতকাল দিনভর স্থানীয় এমপি ড. জান্নাত আরা হেনরী সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছেন। এছাড়া অনান্য স্থানেও জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, যমুনার তীরবর্তী ওই ৫টি উপজেলার ৩৪টি ইউনিয়নের ৮৩ হাজার ১৫২ জন পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যা কবলিত মানুষের জন্য ৯৫ মেট্রিক টন চাল, ৫ লাখ নগদ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই ত্রাণসামগ্রী বিতরণ শুরু হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এদিকে স্থানীয়রা বলছেন, যথাসময়ে ভাঙ্গন রোধে কাজ না করায় এই ভাঙন এখন ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। অবশ্য স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেছেন, এরইমধ্যে বিভিন্ন স্থানে ভাঙন রোধে কাজ শুরু করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।