নরসিংদীর রায়পুরায় কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পৃথক দুটি স্থানে ট্রেনে কাটা পড়ে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। সকালে পাঁচজনের মৃত্যু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই পৃথক স্থানে ট্রেনে কাটা পড়ে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার শ্রীরামপুর রেলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত যুবকের মৃত্যু হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেন নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. শহিদুল্লা। তিনি বলেন, ‘খবর পেয়ে অজ্ঞাত লাশ উদ্ধারের কাজ শুরু করেছি। বিস্তারিত পরে জাননো যাবে।’ পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী কালনী এক্সপ্রেস মেথিকান্দা রেলস্টেশনে ঢোকার আগে শ্রীরামপুর রেলগেট এলাকায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে রেললাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। ট্রেনের চালক বারবার হর্ন দিচ্ছিলেন। এর পরও তিনি রেললাইন থেকে না সরায় ট্রেনের নিচে কাটা পড়েন। তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশ কয়েক মিটার দূরে ছিটকে পড়ে। খবর পেয়ে রেলওয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধারের কাজ করছে।
এর আগে গতকাল সকালে উপজেলার পলাশতলী ইউনিয়নের কমলপুরের খাকচক এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এখনো তাদের নামণ্ডপরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। মেথিকান্দা রেলস্টেশন মাস্টার আশরাফ আলী বলেন, কমলপুরের খাকচক এলাকায় রেললাইনের পাশে ট্রেনে কাটা পড়ে পাঁচজনের মৃত্যু হওয়ার ঘটনা গতকাল ভোর ৪টা থেকে ৬টার মধ্যে ঘটতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, চট্টগ্রাম থেকে আসা ঢাকাগামী চট্টগ্রাম মেইল ট্রেনে কাটা পড়ে এই পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। ট্রেনটি মেথিকান্দা স্টেশন ৫টা ৪৮ মিনিটের দিকে অতিক্রম করে। মেথিকান্দা রেলস্টেশন থেকে দেড় কিলোমিটার পশ্চিমে এ ঘটনা ঘটে। জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (রায়পুরা সার্কেল) আফসান-আল-আলম বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। ঘটনার বিস্তারিত জানতে তদন্ত চলছে।’
