যান্ত্রিকযানের কবলে হারাতে বসেছে গ্রামবাংলার আবহমান ঐতিহ্যবাহী ঘোড়ার গাড়ি। এর প্রচলন প্রায় বিলুপ্তির পথে। এ ঘোড়ার গাড়ির স্থান দখল করে নিয়েছে বিভিন্ন আধুনিক যান্ত্রিক যানবাহন। এ ছাড়া বছর দশেক আগেও রাস্তায় ঘোড়া যেত। এখন ঘোড়াও তেমন দেখা যায় না। কিন্তু এ ঘোড়ার গাড়িই পদ্মার চরাঞ্চলের মানুষের প্রধান বাহন হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে পদ্মার বিশাল এলাকাজুড়ে জেগে ওঠে চর। পানি কমে যায় পদ্মা নদীর। একে তো রাস্তাঘাট নেই, তার ওপর আবার গাড়ি, রিকশা, অটো কিংবা মাইক্রোবাসও চলাচল করতে পারে না চরাঞ্চলে। এ সময় ফরিদপুরের সদরপুরে পদ্মা নদীর চরাঞ্চলে চলাচল ও পরিবহনের একমাত্র মাধ্যম হয়ে ওঠে ঘোড়ার গাড়ি। নিত্য ও কৃষিপণ্য পরিবহন থেকে শুরু করে যাতায়াত ও অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্যও ঘোড়ার গাড়ি ব্যবহার করা হয় সেখানে। পদ্মা ঘিরে রেখেছে সদরপুর উপজেলার চর নাসিরপুর, চর মানাইর, ঢেউখালি ও নারিকেল বাড়িয়া ইউনিয়নকে। শুকনো মৌসুমে এ অঞ্চলে জেগে ওঠে অসংখ্য চর। এমন একসময় ছিল যখন কোনো পরিবহন না থাকায় মানুষকে হেঁটে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে উত্তপ্ত দীর্ঘ বালুচর পাড়ি দিতে হতো।