মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার পূর্ব চান্দেরচর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে ও ফসলি জমির মাটি বিক্রির টাকা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে কালাচান গ্রুপ ও কামু গ্রুপের মধ্যে টেঁটাযুদ্ধে ১১ জন টেঁটাবিদ্ধসহ অন্তত ২০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনার সময় ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। গতকাল সকাল ৬টার দিকে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে বালুচর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলেক চান সজীব আহত হন। এছাড়া সংঘর্ষে ৪টি বাড়িঘর ভাঙচুর হয়। এতে টেঁটাবিদ্ধ গুরুতর আহত ইমন, বাদসা মিয়া, সরিফ হোসেন ও পারভিন বেগমকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়। সকাল ৬টার দিকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ চলে সকাল ৯টা পর্যন্ত। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে পুলিশ ২৫ রাউন্ড গুলি ছুড়েন। বর্তমানে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এদিকে ঘটনার সময় সংবাদ সংগ্রহের সময় দৈনিক মানবকন্ঠের সিরাজদিখান প্রতিনিধি সাংবাদিক সালাহউদ্দিন সালমান সিরাজদিখান থানার পুলিশের অতর্কিত হামলায় আহত হন। বর্তমানে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, পুর্ব চান্দেরচর গ্রামের কামিজুদ্দিন কামু ও একই এলাকার কালাইচান মাদব্বর সর্মথকদের মধ্যে ফসলি জমির মাটিকাটার টাকার ভাগবাটোয়ারা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সকাল ৬টায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর আগে গেল ২১ জুন উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল, ওই সংঘর্ষে ৪ জন টেঁটাবিদ্ধসহ ১০ জন আহত হয়েছিল। বালুচর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আওলাদ হোসেন সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমাদের দুই নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলেকচান সজীব সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আহত হয়েছে, বর্তমান সে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি আছে, বেশ কয়েকজন টেঁটাবিদ্ধ হয়েছে বলে আমি শুনেছি। সিরাজদিখান থানার ওসি মো. মুজাহিদুল ইসলাম জানান, ফসলি জমির মাটি কাটার টাকা ভাগবাটোয়ারা আর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মারামারি হয়েছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন টেঁটাবিদ্ধ আছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ২৫ রাউন্ড গুলি ছুড়া হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে ও সেখানে অভিযান চলছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এখন পর্যন্ত ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। সাংবাদিকের ওপর হামলার বিষয়ে সিরাজদিখান থানার ওসি মো. মুজাহিদুল ইসলাম জানান, এটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।
