কেশবপুরে মিথ্যা মামলায় হয়রানি বন্ধে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মশিয়ার রহমান, কেশবপুর (যশোর)

যশোরের কেশবপুরে বসতভিটার জমি নিয়ে বিরোধে এক শিক্ষক পরিবারকে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে শিক্ষকের বসতবাড়ির নির্মাণকাজ। মিথ্যা মামলায় হয়রানি বন্ধে ভরতভায়না গ্রামের শিক্ষক শেখ মো. কামরুজ্জামান গত মঙ্গলবার বিকালে কেশবপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি ২০১৭ সালের ১০ আগস্ট ভরতভায়না গ্রামের গ্রামের মৃত আব্বাজ শেখের দুই ছেলে আবুল বাশার ও আবু জাফরের কাছ থেকে নামপত্তন ও দখল শর্তে ৩ শতক জমি ক্রয় করে বসতবাড়ি নির্মাণসহ বসবাস করছি। চলতি বছরের মে মাসে বসতবাড়ির আরও একটি ঘর নির্মাণকাজ শুরু করি। এ সময় একই গ্রামের আমীর আলী খানের ছেলে সেলিম আক্তার খান ওই জমি আদর্শ দিশারী সংস্থার দাবি করে আমার কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। আমি টাকা দিতে অস্বীকার করায় গত ২৯ এপ্রিল সেলিম আক্তার খান আমার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ করে। তিনি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) নির্দেশ দেন। গত ১২ ও ২৩ মে শুনানী অন্তে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই মর্মে অভিযোগটি খারিজ করে দেয়। এতে সুবিধা না পেয়ে সেলিম আক্তার খান আমাকে হয়রানি করতে যশোর বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৪ ও ১৪৫ ধারায় আরও একটি মামলা করেন। যার নং- জি-৬১৫/২৪। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কেশবপুর থানার ওসিকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখাসহ প্রকৃত দখলদার নিশ্চিৎ করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়। ওসির নির্দেশে থানার দারোগা শামিম হোসেন আমার বাস্ত বাড়ির ওপর ১৪৪ ধারা জারি করেন। ফলে বন্ধ হয়ে যায় ঘরের নির্মাণ কাজ। আদালতে আগামী ২০ আগস্ট ওই মামলার দিন ধার্য রয়েছে। শিক্ষক শেখ মোঃ কামরুজ্জামান আরও অভিযোগ করেন, বর্তমান আদর্শ দিশারী সংস্থার কোনো কার্যক্রম নেই।

আমার বসতবাড়ির জমিও ওই সংস্থার নয়। এরপরও যখনই ঘর নির্মাণ করতে যাই সেলিম আক্তার খান ক্ষতি সাধনসহ বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানি করেন। এতে আমি মানসিক ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। তিনি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সেলিম আক্তার খানের কতৃক একের পর এক মিথ্যা মামলা ও বিভিন্নভাবে হয়রানির হাত থেকে পরিত্রাণ পেতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ সময় তাঁর সাথে উপস্থিত ছিলেন, হাফিজুর রহমান ও সিদ্দিকুর রহমান। এ ব্যাপারে সেলিম আক্তার খান বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে, সেটা সঠিক নয়। তিনি আরও বলেন, ওই শিক্ষক উল্টো আমাকে বিভিন্নভাবে ক্ষতি করে চলেছেন।