দুমকিতে বেড়েছে গরু চুরির উপদ্রব

আতঙ্কে খামারিরা

প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মো. রাকিবুল হাসান, দুমকি (পটুয়াখালী)

পটুয়াখালীর দুমকিতে প্রায়ই গরু চুরির ঘটনা ঘটছে। চোরের উপদ্রবের কারণে সবসময় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে জনসাধারণ। আবার কেউ কেউ চোরের ভয়ে গরু পালন ছেড়ে দিয়েছেন। গত কয়েক মাসের ব্যবধানে উপজেলার মুরাদিয়া, শ্রীরামপুর ইউনিয়নে বেশকয়েকটি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। সরেজমিন জানা যায়, গত সোমবার রাতে মুরাদিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ভক্ত বাড়ির ক্ষিতিষ চন্দ্র ভক্তের গোয়ালঘর থেকে ৬টি গরু নিয়ে যায় সংঘবদ্ধ চোরচক্র। একইভাবে কয়েক বছর আগে ক্ষিতিষ ভক্তের ছোট ভাই জগদীশ চন্দ্র ভক্তের ৫টি গরু নিয়ে যায়। গত ৭ জুন দিবাগত রাতে মুরাদিয়া ৫নং ওয়ার্ডের কলবাড়ি বাজারের ব্যবসায়ী তাইবুর রহমান মাঝির ৪টি, তার কয়েক দিন আগে মুরাদিয়া, ৫নং ওয়ার্ডের আবু সালাম আকনের দুটি, শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মাওলানা জসিম উদ্দিন ঘরামির দুটি, মুরাদিয়া ৫নং ওয়ার্ডের জাহাঙ্গীর সিকদারের ৩টি ও কামাল হাওলাদারের ৪টি গরু নিয়ে যায় সংঘবদ্ধ চোরচক্র। এ ছাড়াও পার্শ্ববর্তী পটুয়াখালী সদর উপজেলার লাউকাঠী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের গাজী বাড়ির নাসির গাজীর ৪টি ও বেল্লাল গাজীর ২ টি গরু একই রাতে চুরি হয়।

কয়েক মাস পূর্বে লোহালিয়া নদীতে ট্রলার যোগে গরু চুরি করে পালানোর সময় মুরাদিয়ার জনসাধারণের হাতে ধরা পড়ে এক চোর। গরু চুরির এসব ঘটনায় দুমকি থানায় একাধিক জিডি ও মামলা হয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা যায়। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী ক্ষিতিষ চন্দ্র ভক্তের ছেলে বলেন, গত সোমবার রাতে আমাদের গোয়াল ঘর থেকে ৮টি গরুর ৬টিই গভীর রাতে নিয়ে যায় চোরেরা। আমরা একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেলাম, ৬টি গরুর মূল্য ৪-৫ লাখ টাকা, এমতাবস্থায় কি করব বুঝতে পারছি না। এছাড়াও আমার মা ক্যান্সারের রোগী। চোর চিনতে পারছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চোর চিনতে পারিনি ঠিকই তবে এলাকার লোকজনের সাথে জড়িত বলে বিভিন্নজনে বলাবলি করে এবং আমারও তাই মনে হয়। অপর এক ভুক্তভোগী তাইবুর রহমান মাঝি বলেন, আমার ৪টি গরু চুরির ঘটনায় দুমকি থানায় দুইজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করি কিন্তু অদ্যাবধি কোনো চোর আটক করতে পারেনি পুলিশ। এ ব্যাপারে দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেক মোহাম্মদ আবদুল হান্নান ‘আলোকিত বাংলাদেশ’কে বলেন, মুরাদিয়া ইউনিয়নে কয়েকটি গরু চুরির ঘটনায় আমরা খুবই তৎপর, আশা করি স্বল্প সময়ের মধ্যেই সংঘবদ্ধ চোরচক্রকে আটক করতে সক্ষম হব এবং বিট পুলিশং, গ্রাম পুলিশ ও থানা পুলিশের মাধ্যমে গরু চুরি রোধে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চলমান রয়েছে। অপরদিকে গরু চুরির ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সরেজমিনে পরিদর্শন কালে দুমকি উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান কাওসার আমিন হাওলাদার বলেন, এটি একটি খুব দুঃখ জনক ঘটনা, ইতিপূর্বে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এব্যাপারে কাজ করে যাচ্ছে। চোর চক্রকে দমনের লক্ষ্যে আগামী আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে উপস্থাপন করা হবে এবং যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।