চাঁদপুরে দুই দিন গ্যাস সরবরাহ বন্ধ
চরম দুর্ভোগ
প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
চাঁদপুর প্রতিনিধ
চাঁদপুর শহর ও আশপাশের এলাকায় আবাসিক লাইন সংযোগে গ্যাসের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। যার ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে গ্রাহকদের। কোন ধরনের নোটিশ কিংবা কোম্পানীর পক্ষ থেকে মাইকিং না করায় অনেকে রান্না করতে পারেনি। ফলে লোকজন হোটেল থেকেই খাবার এনে খেতে হচ্ছে। দুই দিন এই গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। গত বুধবার সকাল থেকে চুলাতে গ্যাস ধীরে ধীরে কমতে থাকে। সকাল ৯টার পরে আরো সংকট দেখা দেয়। এরপর সন্ধ্যায় পুরোপুরি গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়ে। বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড চাঁদপুর কার্যালয় থেকে খবর নিয়ে জানাগেছে গ্যাস সরবরাহ লাইনে সমস্যা এবং মেরামত কাজ চলছে। বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড চাঁদপুর কার্যালয়ের ম্যানেজার মোবারক হোসেন এই তথ্য জানান। গতকাল বিকালে গ্যাস সরবরাহ শুরু হওয়ার কথা কর্তৃপক্ষ জানালেও সন্ধ্যা পর্যন্ত সম্পূর্ণভাবে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। গ্যাস সংকটে ভোগান্তির শিকার শহরের মুন্সেফ পাড়ার গৃহিণী সুমনা বেগম বলেন, হঠাৎ গ্যাস সংকটে বিপাকে পড়েছি। যে কারণে আজ দুবেলার খাবার হোটেল থেকে কিনতে হয়েছে। কখন আসবে সেটাও জানি না।
শহরের চেয়ারম্যান ঘাটের উকিল ভিলার বাসিন্দা ইসরাত জাহান ইভা বলেন, সকালে হঠাৎ ঘুম থেকে উঠে জানলাম গ্যাস থাকবে না। পরে চুলা জ্বালিয়ে দেখি গ্যাসের সরবরাহ কম। ২ ঘণ্টা শেষ হতো সেই রান্না বিকাল গড়িয়ে গেল। একদিকে বিদ্যুতের আসা-যাওয়া অন্যদিকে গ্যাসবন্ধ। চরম দুরবস্থায় আছি। শহরের নিউ ট্রাক রোড এলাকার বাসিন্দা গৃহিনী ফাতেমা আক্তার বলেন, আগে পরে গ্যাস বন্ধ করার আগে মাইকিং হয়েছে। এবার তাও জানতে পারিনি। যে কারণে চরম বিপাকে পড়েছি। সন্তানদের বিদ্যালয়ে যেতে হয়েছে হালকা নাস্তা খেয়ে।
এরপর দুপুরের খাবার নিয়ে বিপাকে। স্টেডিয়াম সংলগ্ন মাদ্রাসা রোডের বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, বাসার চুলা বন্ধ। যে কারণে হোটেল থেকে কিনতে হয়েছে। কখন গ্যাস আসবে সে খবরও পাওয়া যায়নি। বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড কুমিল্লা কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (হিসাব বিভাগ) সৈকত হোসেন জানান, কোম্পানীর চট্টগ্রাম আনোয়ারা ও পৌজদার হাট প্রজক্টের পাইপ লাইনে লিকেজ দেখা দিয়েছে। মেরামত কাজ চলছে। প্রাকৃতিক কোন সমস্যা না দেখা দিলে গতকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হবে। তবে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়নি।