তিতাসে ১১ বছরে জনসংখ্যা বেড়েছে ২০ হাজার
প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
কুমিল্লার তিতাসে বিগত ১১ বছরে জনসংখ্যা বেড়েছে প্রায় ২০ হাজার। ২০২২ সালের ১১ জুন মধ্য রাত থেকে ২১ জুন পর্যন্ত সময়ে জনশুমারির জরিপে এ তথ্য সংগ্রহ করা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিস, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিস, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস, উপজেলা প্রকৌশলী অফিস, উপজেলা জনস্বাস্থ্য অফিস, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস, উপজেলা কৃষি অফিসে বিভিন্ন ইউনিয়নের মাঠ পর্যায়ে বরাদ্দ বিভাজনের ক্ষেত্রে ২০২৩-২৪ অর্থবছর থেকে সর্বশেষ ২০২২ সালের জনশুমারির তথ্য ব্যবহার করে আসছে। এর আগে ২০১১ সালের জনশুমারির তথ্যের ভিত্তিতে ওই কার্যক্রম পরিচালিত হতো। উপজেলা পরিসংখ্যান অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের আদম শুমারি অনুযায়ী তিতাসের জনসংখ্যা ছিল ১ লাখ ৮৪ হাজার ৬১৭ জন। যার মধ্যে পুরুষ ছিল ৮৭ হাজার ১০০ এবং নারী ছিল ৯৭ হাজার ৫১৭। ২০২২ সালের জনশুমারির তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৩ হাজার ৯৫১ জন।
যার মধ্যে সাতানী ইউনিয়নে ১৬৮২ জন, জগতপুর ইউনিয়নে ২১ হাজার ৯০০ জন, বলরামপুর ইউনিয়নে ২৭ হাজার ০৪০ জন, কড়িকান্দি ইউনিয়নে ২৪ জাচার ১৪২ জন, কলাকান্দি ইউনিয়নে ১২ হাজার ৭৯১ জন, ভিটিকান্দি ইউনিয়নে ২৭ হাজার ৫৯৬ জন, নারান্দিয়া ইউনিয়নে ২০ হাজার ০১৫ জন, জিয়ারকান্দি ইউনিয়নে ২১ হাজার ০৫৬ জন এবং মজিদপুর ইউনিয়নে ৩২ হাজার ৫৯৯ জন। অর্থাৎ উপজেলা পর্যায়ে আদম শুমারির চেয়ে জনশুমারিতে জনসংখ্যা বেড়েছে ১৯ হাজার ৩৩৪ জন। দেশের প্রকৃত জনসংখ্যা একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যান। প্রকৃত জনসংখ্যার ভিত্তিতেই মাথাপিছু আয়, সরকারের মাথাপিছু ঋণ, বেকারত্বের হার, খাদ্যপণ্যের চাহিদার তথ্য জানা যায়। এগুলোর ভিত্তিতে সরকারের বিভিন্ন নীতিকৌশল নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। জনসখ্যার তথ্য সঠিক না হলে সব নীতি পদক্ষেপ ভেস্তে যেতে পারে। এ কারণে প্রকৃত জনসংখ্যার সঠিক পরিসংখ্যান জানা অত্যন্ত জরুরি। যদিও দেশের সর্বশেষ জনশুমারি কার্যক্রম নিয়ে বেশুমার অভিযোগ ছিল। তার পর কুমিল্লার তিতাস উপজেলার বিভিন্ন দপ্তর এই পরিসংখ্যানের উপর ভিত্তি করেই সকল প্রকার বরাদ্দ বিভাজন করে যাচ্ছে।