ত্রাণসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত
যমুনার পানি কমতে থাকায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
প্রকাশ : ১৫ জুলাই ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ
যমুনা নদীর পানি সামান্য করে কমতে থাকায় সিরাজগঞ্জে নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে বন্যাকবলিত এলাকার বিভিন্ন স্থানে দুর্ভোগ এখনো কমেনি। বর্তমানে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ২১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যাকবলিত এলাকার বহু পরিবার এখনো পানিবন্দি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রায় দেড় সপ্তাহ আগে উজানের ঢল ও প্রবল বর্ষণে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬২ সে. মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে যমুনা নদীর তীরবর্তী কাজিপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর, চৌহালী ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি ঘটে। বহু ঘরবাড়ি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পানিতে ডুবে যায় এবং অনেকে স্থানীয় ওয়াবদা বাঁধসহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেয়। সেইসাথে উল্লেখিত ৫টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শুরু হয় নদীভাঙ্গন। এ ভাঙ্গনে বহু ঘরবাড়ি, গাছপালা ও জায়গা-জমি যমুনা গর্ভে বিলীন হয়েছে। অবশ্য স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙ্গন রোধে কাজ করছে। এদিকে কয়েকদিন ধরে যমুনার পানি সামান্য করে কমতে থাকায় বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলেও দুর্ভোগ কমেনি। বন্যা ও ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তরা বলছেন, যমুনার পানি ধীর গতিতে কমলেও দফায় দফায় বর্ষণে দুুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। তবে যথা সময়ে যমুনা নদীর তীর সংরক্ষণের কাজ করা হলে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না বলে তারা দাবি করেন। শাহজাদপুর ও কাজিপুরে বন্যাকবলিত এলাকায় এখনো পানিতে সয়লাব করছে। বন্যাকবলিত এলাকায় গো-খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানি সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (হেডকোয়ার্টার) নাজমুল হাসান বলেন, যমুনায় পানি কমছে এবং বিভিন্ন স্থানে ভাঙনও রয়েছে। অনেক স্থানে ভাঙন রোধে কাজ করা হচ্ছে। তবে যমুনায় আর পানি না বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে শাহজাদপুর ও চৌহালী এলাকায় এখন ভাঙন চলছেই। জেলা প্রশাসনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেছেন, বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে এবং স্থানীয় জনস্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।