ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সড়কের মরা গাছের ডালপালা ভেঙে আহত হচ্ছে মানুষ

ঝুঁকি বেড়েছে পথচারীদের চলাচলে
সড়কের মরা গাছের ডালপালা ভেঙে আহত হচ্ছে মানুষ

যশোরের কেশবপুর উপজেলার বিভিন্ন সড়কের মরা গাছের ডালপালা ভেঙে পড়ে পথচারীদের চলাচলে প্রচুর ঝুঁকি বেড়েছে। জেলা পরিষদের অবহেলার কারণে বর্ষা মৌসুমে পথচারীদের চলাচলে ঝুঁকি শুধু বেড়েনি আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন সড়কে গিয়ে দেখা গেছে, কেশবপুর শহরের সরকারি হাসপাতালের পাশে, বিভিন্ন ইউনিয়নের সড়কের দুই পাশে জেলা পরিষদের লাগানো বড় বড় বিভিন্ন বনজ বৃক্ষ মরে শুকিয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এবং ওই মরা বড় বড় গাছগুলো আস্তে আস্তে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এখন বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিপাতের কারণে মরা গাছের শুকনো ডালপালা ভেঙে পথচারীদের ওপরে পড়ে আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে অহরহ। এর মধ্যে উপজেলার কেশবপুর সরকারি হাসপাতালের পূর্ব পার্শে সীমানা প্রাচীরের গায়ে কেশবপুর- রাজগজ্ঞ সড়কে অনেকগুলো বড় বড় গাছ মারা গিয়ে শুকিয়ে গেছে। তাছাড়া ভেরচী ভায়া কলাগাছি সড়ক, কেশবপুর ভায়া রাজগজ্ঞ সড়ক, কেশবপুর ভায়া সাগরদাঁড়ি সড়ক, হাসানপুর ভায়া বগা সড়ক, কেশবপুর ভায়া পাঁজিয়া সড়ক, কেশবপুর ভায়া ফতেপুর সড়কের পাশে লাগানো বড়ো বড়ো বিভিন্ন প্রকারের প্রচুর গাছ অনেক আগে মরে শুকিয়ে গেছে। আর ওই কোটি কোটি টাকার সরকারি সম্পদ এভাবে মরে যেয়ে শুকিয়ে নষ্ট হয়ে গেলেও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ সম্পুর্ণ উদাসীন। জেলা পরিষদে অবহেলার কারণে বর্ষা মৌসুমে পথচারীদের চলাচলে প্রচুর ঝুঁকি বেড়েছে। বিভিন্ন সময়ে মরা গাছের ডাল-পালা ভেঙ্গে পড়ে পথচারীদের আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে অহরহ।

এরইমধ্যে কেশবপুর পৌর শহরে সরকারি খাদ্যগুদামের পাশে একটি মরা গাছের শুকনা ডাল ভেঙে পড়ে ৫ জন পথচারী আহত হয়ে কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। কেশবপুর উপজেলার গৌরিঘোনা ইউনিয়নে ভেরচী গ্রামের কৃষক অশোক কুমার মন্ডল জানান, ভেরচী ভায়া চুকনগর সড়কের ভেরচী বাজারের অদুরে অনেক গাছ মারা গেছে এবং তার ডালপালা ভেঙে পড়ে পথচারীদের ওপর পড়ে অনেকে আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মরা গাছের ডাল-পালা ভেঙে পড়ে এক পথচারী পল্লী চিকিৎসক মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। এ বিষয়ে গৌরিঘোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম হাবিবুর রহমান বলেন, আমার ইউনিয়নের ভেরচী সড়কের দুপাশে প্রচুর গাছ মরে শুকিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। বহুবার লিখিত এমনকি মৌখিক ভাবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা তাঁরা নেয়নি। গত ১২ জুলাই একজন পল্লী চিকিৎসকও আহত হয়েছেন। এ ব্যাপারে কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তুহিন হোসেন বলেন, সড়কে অনেক গাছ মরে শুকিয়ে গেছে। এরইমধ্যে সড়কগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে এবং জেলা পরিষদকে অবহিত করা হয়েছে। জেলা পরিষদও খুব দ্রুত মরা গাছগুলো অপসারণের ব্যবস্থা নিবেন বলে তিনি জানান।

এ বিষয়ে যশোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাইফুজ্জামান পিকুল বলেন, আমি অনেক আগেই জেনেছি। শুকনো ডালপালা ভেঙে পড়ায় পথচারীদের অনেক ঝুঁকি বেড়েছে। খুব শিগগিরই মরা গাছগাছালিগুলো অপসারণের ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত