কৃষি প্রণোদনা ও পুনর্বাসন কর্মসূচির উপকরণ বিতরণ
প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
বরগুনা প্রতিনিধি
বরগুনায় কৃষি প্রণোদনা ও পুনর্বাসন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বরগুনা সদর উপজেলার ৬৫০ কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে প্রতিজনে পাঁচটি করে নারিকেল চারা বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপকারভোগী কৃষকদের মাঝে এ চারা বিতরণ করা হয়। বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: শামীম মিঞার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান মো: মনিরুল ইসলাম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: মোস্তাফিজুর রহমান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা কৃষক লীগের সভাপতি ও ঢলুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো: আজিজুল হক স্বপন, বরগুনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাফর হোসেন হাওলাদার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো: আরিফ হোসেন মোল্লা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা চেয়ারম্যান মো: মনিরুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়তে হলে মাটি আর মানুষের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে কৃষিকাজে মনোনিবেশ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে খাদ্য ঘাটতির দেশ আজ খাদ্য উদ্বৃত্ত দেশে পরিণত হয়েছে। সার, বীজ আর সেচ ব্যবস্থাকে সহজলভ্য করে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন শস্য উৎপাদনে নিয়মিত প্রণোদনা পাচ্ছেন দেশের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা। নতুন নতুন প্রযুক্তি আর প্রশিক্ষণ প্রদানের ফলে কৃষির উৎপাদন বেড়েছে বহুগুণে। কৃষি প্রণোদনা, কৃষি পুনর্বাসন (রিমাল) ও কৃষিপ্রযুক্তি মেলার ২০২৪ এর আওতায় বরগুনা পৌরসভারসহ ১১টি ইউনিয়নে মোট ৮ হাজার ৭০০ উপকারভোগীর মধ্যে প্রণোদনা কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১০টি ইউনিয়নের ৫০ জন চাষিকে পাটের বীজ ৫০ কেজি, ৬৫০ জনকে ৫টি করে নারিকেল চারা, উফসী আমন ফসলের প্রণোদনা হিসেবে ২ হাজার ৫০০, উফসী আমন ফসলের কৃষি পুনর্বাসন ৫০০, উফসী আমন কৃষি পুনর্বাসন (রিমাল) উপলক্ষ্যে পাঁচ হাজার, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক এবং ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন ইউনিয়নের সর্বমোট ৮ হাজার ৭০০ জন কৃষককে চলতি সপ্তাহের মধ্যে সুবিধা প্রদান করা হবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপকরণ বিতরণের সুবিধার্থে পাট বীজ প্রতিজনে এক কেজি করে পাবেন। উফসী আমনের ক্ষেত্রে ১০ জনের গ্রুপে ডিএপি সার ৫০ কেজির দুই বস্তা, এমওপি সার ৫০ কেজির দুই বস্তা, উফসী আমন বীজ ১০ কেজির পাঁচ বস্তা সরবরাহ করা হবে। প্রতি উপকারভোগীর কমপক্ষে ৩৩ শতাংশ বা এক বিঘা জমিতে আবাদ করতে হবে।