লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ৩নং ভাদুর ইউনিয়নের মধ্য ভাদুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণে আদালতে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা করায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বাড়ির রাস্তা ১২ ফুট রেখে স্কুল ভবন নির্মাণের শর্ত দিয়ে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদনটি করেন জাকির হোসেন ভূইয়া নামের এক সরকারি চাকরিজীবী। জাকির হোসেন ভূইয়া নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী হিসাবে কর্মরত ও ভাদুর ইউনিয়নের ভূইয়া বাড়ির মৃত মন্তাজ উদ্দিন ভূইয়ার ছেলে।
সরেজমিন গত রোববার বেলা সাড়ে ১২টায় মধ্য ভাদুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, একই শ্রেণি কক্ষে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পাঠদান চলছে। পাশ্ববর্তী লাইব্রেরি (শিক্ষকদের রুম)তে চলছে ৫ম শ্রেণির পাঠদান। গাদাগাদি ও চিৎকার চেঁচামেচিতে চলছে পাঠদান কার্যক্রম। কারো কথা কেউ শুনছে না। ফলে চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান কার্যক্রম।
জানা যায়, ১৯৭২ সালে মধ্যে ভাদুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠায় আলিম উদ্দিন ভূইয়া বাড়ি ২৫ শতক ও বাদশা মাস্টার বাড়ির লোকজন ২৭ শতক জমি দান করেন। ১৯৭৩ সালে মাঠের পূর্বপাশের জমিতে সরকারিভাবে আধাপাকা টিনশেড ভবন নির্মাণ করা হয়। দীর্ঘদিনেও সংস্কার না হওয়ায় জরাজীর্ণ ভবনটি শিক্ষার্থীদের জন্য চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।
২০২৩ সালের নভেম্বরে পুরাতন ভবন ভেঙে নতুন দ্বিতল ভবন নির্মাণের জন্য সয়েল টেস্ট করার পর ৬৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। কাজটি পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লামিয়া অ্যান্ড তানভির এন্টারপ্রাইজ। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনটি ভেঙে ওই স্থানে নতুন ভবন নির্মাণে লে-আউট দেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। লে-আউট দেয়ার কয়েকদিন পর যাতায়াতের রাস্তা প্রশস্তকরণ ও বিদ্যালয় সীমানার ভেতরে জমি পাওনা দািব করে নতুন ভবন নির্মাণ বন্ধ রাখতে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন জাকির হোসেন ভূইয়া। আদালত স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা না দিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ২০ দিনের শোকজ ও শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেন।