নওগাঁর রাণীনগরে রোপা আমন ধান রোপণ শুরু করেছেন কৃষকরা। চলতি মৌসুমে বৃষ্টি কম থাকায় মাঠ শুকিয়ে যাচ্ছে। ফলে তরিঘরি করেই মাঠে নেমেছেন কৃষকরা। কৃষকরা বলছেন, আমন ধান কেটে ঘরে তুলেই জমিতে আলু, সরিষা আবাদ করবেন। এমনটায় লক্ষ্য নিয়ে আগাম জাতের ধান রোপণ শুরু করেছেন কৃষকরা। রাণীনগর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলাজুড়ে ১৯ হাজার ৬২০ হেক্টর জমিতে ধান রোপণের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যেই প্রায় ১ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে ধান রোপণ শেষ হয়েছে। আমন ধান কেটে ঘরে তোলার পর কৃষকরা মাঠে আলু, সরিষাসহ বিভিন্ন প্রকার রবিশষ্য আবাদের লক্ষ্য নিয়ে আগাম জাতের ধান রোপণ করছেন। এর মধ্যে ব্রি ধান ৯০, বিনা ১৭, ব্রি ৭৫, স্বর্ণা-৫, জিরাশাইলসহ বিভিন্ন জাতের ধান রয়েছে। উপজেলার গুয়াতা গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে তিনি প্রায় ১৭ বিঘা জমিতে ধান রোপণ করছেন। ধান কেটে জমিতে আলু, সরিষা আবাদ করবেন। গত বছর আমন মৌসুমে ধান কেটে প্রায় ৫ বিঘা জমিতে আলু সরিষার আবাদ করেছিলেন। এতে বেশ লাভবান হয়েছেন বলে জানান। হরিপুর গ্রামের কৃষক চন্দ্র জানান, এবার তিনি পাঁচ বিঘা জমিতে বিনা ১৭ ও জিরাশাইল জাতের ধান রোপণ করছেন। ধান কেটে সবগুলো জমিতেই আলু সরিষা আবাদ করবেন। এদিকে কালীগ্রাম কসবাপাড়া গ্রামের কৃষক হারুনুর রশিদ জানান, এবার বৃষ্টিপাতের প্রকোপ অনেকটায় কম। তাই মাঠের পানি দ্রুত শুখে যাচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে নলকূপ থেকে পানি সেচ দিয়ে তরিঘরি করেই জমিতে ধান রোপণ করতে হচ্ছে। সিলমাদার গ্রামের কৃষক এমদাদুল হক জানান, ইতি মধ্যে তিনি আড়াই বিঘা জমিতে ব্রি-৯০জাতের ধান রোপণ করেছেন। তিনিও ধান কেটে আলু সরিষা আবাদ করবেন বলে জানিয়েছেন। কৃষকদের মতে, গত বোরো মৌসুমে ধানের আবাদ ভালো হওয়ায় ফলনও ভালো হয়েছে। সেই সাথে বাজারে বিক্রিতে দাম ভালো পাওয়ায় বেশ লাভবান হয়েছেন। রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা হক জানান,চলতি মৌসুমে প্রায় ১৯ হাজার ৬২০ হেক্টর জমিতে ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরইমধ্যে প্রায় ১ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে ধান রোপণ শেষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।