ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সুন্দরবন পশ্চিম কোবাদক স্টেশনের সহযোগিতায় মাছ শিকার

সুন্দরবন পশ্চিম কোবাদক স্টেশনের সহযোগিতায় মাছ শিকার

সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের কোবাদক স্টেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে চুক্তিতে চলছে অভ্যয়ারণ্যে মাছ ও কাঁকড়া আহরণ। মৎস্যজাত প্রাণীর প্রজনন ব্যাহত, মরছে পাখী। সুন্দরবন নদী ও খালে মৎস্যজাত প্রাণীর প্রজননের জন্য রয়েছে- কিছু নদী ও খাল, যেসব খালে সকল প্রকার যানবহন ও মানুষ প্রবেশ নিষেধ রয়েছে এরপর ও বর্তমানে ৩ মাসের জন্য সুন্দরবনে সকল প্রকার জেলে নৌকা প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে অথচ কোবাদক স্টেশন এলাকা দিয়ে প্রতিদিন রাত জেলেরা প্রবেশ করে অভয়ারণ্য এলাকার বনকর্তাদের সঙ্গে চুক্তিতে মাছ ও কাঁকড়া আহরণ করছে। বিভিন্ন প্রকার জাল-বড়শী ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে বিষ প্রয়োগ করে মাছ ধরছেন জেলেরা। এ সুযোগ দেয়ার জন্য কোবাদক স্টেশন অফিসে প্রতি নৌকার জন্য ৩০ হাজার টাকা দিতে হচ্ছে এমন অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া অভয়ারণ্যে এলাকার বনফাড়ীঁ, নোটাবেকী, পুষ্পকাটি, দোবেকী কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রতি গুনে দিতে হচ্ছে ২০ হাজার টাকা করে। ৩ জন বহনকারী এক জেলে নৌকা অভয়ারণ্যে মাছ ধরতে খরচ হয় ১ লাখ টাকা। যা সরকারিভাবে মাছ ধরার অনুমতি নিলে ৩৪৫ টাকা প্রয়োজন। বর্তমানে সরকারি অনুমোদন বন্ধ থাকলেও সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের অভয়ারণ্যের খালে ও নদীতে কয়েক হাজার জেলে নৌকা মাছ ধরছে বলে জেলেরা জানান, এ ব্যাপারে কথা হয় চাঁদনীমুখা গ্রামের জেলে জগদীশ রপ্তানের সঙ্গে তিনি বলেন, কোবাদক স্টেশন অফিসের সাতে যোগাযোগ করে সুন্দরবনে প্রবেশের পর নোটাবেকী, পুষ্পকাটি ও দোবেকী বনফাড়ীঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে অভয়ারণ্যে মাছ ধরি তাতে অল্প সময়ে অনেক মাছ পাওয়া যায়। তাতে লক্ষাধিক টাকা খরচ হলেও ২ লাখ টাকার বেশি উঠে আসে। কয়রার বিপিন সরকার জানান, কোবাদক বন অফিসে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে বনে প্রবেশ করি এবং অভয়ারণ্যে বনফাড়ীঁগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে মাছ ধরি। তাতে দ্রুত খরচ উঠে লাভ থাকে। একই কথা সুন্দরবনে মাছ ধরা রতজেলে হুদার সঙ্গে তিনি একই কথা বলেন। এদিকে সচেতন মহল বলছে সুন্দরবনে প্রবেশ করে জেলেরা বিষ প্রয়োগে মাছ ধরার পর ছোট মাছগুলো ফেলে দেয়, যা খেয়ে বিভিন্ন প্রকার পাখী মারা যাচ্ছে, ফলে সুন্দরবনে পাখীর সংখ্যাও কমে যাচ্ছে এবং সুন্দরবনের নদী খালে মৎস্যজাত প্রাণীর প্রজনন হচ্ছে ব্যাহত। এসব অভিযোগ নিয়ে কোবাদক স্টেশন অফিসার আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, আমি সদ্য যোগদান করেছি, এখনও এ বিষয়ে আমার অভিজ্ঞতা হয়নি। কথা হয় সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এম কে এম ইকবাল হোছাইন চৌধুরীর সঙ্গে তিনি বলেন, সুন্দরবনে কারও প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। আমাদের অজান্তে কেউ প্রবেশ করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত