ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঠাকুরগাঁওয়ে নারী নির্যাতন

* গুরুতর জখমের অভিযোগ * ভুক্তভোগী রুমানা ফেরদৌস
ঠাকুরগাঁওয়ে নারী নির্যাতন

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মাদারগঞ্জ বদলীবাড়ি গ্রামে এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের পর হত্যার উদ্দেশ্যে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে একটি সন্ত্রাসী চক্রের বিরুদ্ধে। ৫ জনের নামসহ অজ্ঞাত ৩-৪ জনের কথা উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন এক ভুক্তভোগী। গত শনিবার রাতে রুমানা ফেরদৌস নামে ওই নারী ভূল্লী থানায় মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভূল্লী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. দুলাল উদ্দীন। মামলার আসামিরা হলেন- ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মাদারগঞ্জ বদলীবাড়ি গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে মাহাবুব ইসলাম, মাহাবুব ইসলামের ছেলে তাহসিন, আব্দুস সামাদের ছেলে রফিকুল ইসলাম, মাহাবুব ইসলামের মেয়ে তাসনিম আক্তার, মাহাবুব ইসলামের স্ত্রী ইসমত আরা।

অভিযোগে জানা যায়, রোমানা ফেরদৌস বাবার বাড়িতে মেহমান খাইতে আসেন। গত ২৩ জুলাই বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ময়লা ফেলানোর জন্য বাড়ির পাশে বাবার ভোগদখলীয় সুপারি বাগানে গেলে মামলার আসামিরা অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায় বিবস্ত্র করে এবং হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি মাথায় কোপাতে থাকে। এতে গুরুতর জখম হয় ওই নারী। এ সময় ওই নারীর চিৎকারে তার স্বামী এগিয়ে এলে তাকেও বেধড়ক মারধর করে। এতেও ক্ষান্ত হননি সন্ত্রাসীরা। পরে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে ওই নারীর বৃদ্ধ বাবার উপর হামলা চালায়। স্থানীয়রা উদ্ধার করার চেষ্টা করলে তাদেরও প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। এ সময় পুলিশে খবর দিলে, পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাদের রক্ষা করে। পরে পুলিশের সহযোগিতায় ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সন্ত্রাসী চক্রটি পরিকল্পিতভাবে তাদের ওপর হামলা চালায়। চক্রটি সরলতার সুযোগ নিয়ে পেশিশক্তি ব্যবহার করে জমি দখলের চেষ্টা করে। মামলার বাদী রুমানা ফেরদৌস বলেন, সন্ত্রাসী চক্রটি এর আগেও আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছিল। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ থানায় অভিযোগ করেছিলাম। তারা একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। তারা বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে। মামলার আসামি মাহাবুব ইসলাম বলেন, আমি এখন বাইরে আছি। পরে আপনাদের সাথে দেখা করে কথা বলবো। ঠাকুরগাঁও ভূল্লী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. দুলাল উদ্দীন বলেন, বাদী পক্ষ অভিযোগ দিয়েছিল। সেটা সংশোধন করে দিলে মামলা নথিভুক্ত করে আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত