টাঙ্গাইলে পুলিশের পাঁচ মামলায় দেড় হাজার আসামি

প্রকাশ : ২৯ জুলাই ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে টাঙ্গাইলে ৩টি পুলিশ বক্স ও ৭টি গাড়ি ভাঙচুর এবং ২৮ জন পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় পৃথক পাঁচটি মামলা করা হয়েছে। টাঙ্গাইল সদর, কালিহাতী, ঘাটাইল, মধুপুর ও ধনবাড়ী থানায় পুলিশ বাদি হয়ে এসব মামলা করে। পুলিশ দায়েরকৃত পাঁচ মামলায় ১১৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত দেড় হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে এসব ঘটনায় কত টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে পুলিশ তা জানাতে পারেনি। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ১৮ জুলাই টাঙ্গাইল শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এ সময় আন্দোলনকারীরা শহরের নিরালা মোড় ও কুমুদিনী কলেজ গেট মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ বক্স ভাঙচুর করে। এছাড়া মধুপুরেও একটি পুলিশ বক্স ভাঙচুর করা হয়েছে। পুলিশ সূত্র জানায়, টাঙ্গাইল সদর থানার এসআই আরিফ রব্বানী বাদী হয়ে গত ১৯ জুলাই রাতে নাম না জানা ৩০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। কালিহাতীতে সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগে কালিহাতী থানার এসআই ইমাম হোসেন বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ ২০০ জনের নামে গত ১৯ জুলাই মামলা করেন। ঘাটাইলে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ২২ জুলাই এক পুলিশ সদস্য বাদী হয়ে ২০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০০ জনকে আসামি করে মামলা করে। মধুপুর থানায় গত ১৯ জুলাই এসআই মো. ফরহাদ হোসেন বাদী হয়ে ৭৭ জনের নাম উল্লেখসহ ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ধনবাড়ী থানায় ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পাঁচ শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে ১৯ জুলাই এসআই জহিরুল ইসলাম মামলা করেন। টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. লোকমান হোসেন জানান, এ পর্যন্ত ৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঘাটাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবু ছালাম মিয়া জানান, আন্দোলনকারীরা হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে প্রায় ২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছে। এছাড়া ৬ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, মামলাগুলো তদন্ত করা হচ্ছে। গতকাল রোববার দুপুর পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪ জনসহ এ পর্যন্ত ১৮৩ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার গোলাম সবুর জানান, পুলিশ বক্স ও গাড়ি ভাঙচুর, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় পৃথক পৃথক মামলা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।