ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নীলফামারীতে তিস্তা সেচ প্রকল্প কমান্ড

পুনর্বাসন সম্প্রসারণ বদলাবে কৃষকের ভাগ্য

পুনর্বাসন সম্প্রসারণ বদলাবে কৃষকের ভাগ্য

খুব দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে রংপুর দিনাজপুর ও নীলফামারীর তিস্তা সেচ প্রকল্পের নীলফামারী সৈয়দপুর সাব ক্যানেলের কাজ। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে খরার সময় পানি নিয়ে চিন্তা করতে হবে না কৃষকের। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, রংপুর দিনাজপুর নীলফামারীর ১২ উপজেলায় ১৪৫২, ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে তিস্তা সেচ প্রকল্প শুরু হয়। নীলফামারী সদরসহ পাঁচ উপজেলায় ৩৭২ কোটি টাকার সেচ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়, পথিমধ্যে ৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে বুড়িতিস্তা জলাশয় পুনঃখনন এলাকাবাসীর সাথে জমিন নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে স্থগিত হয়ে যায়। এরমধ্যে নীলফামারীর জলঢাকা কিশোরগঞ্জ ডিমলা সৈয়দপুর ও নীলফামারী সদরের কাজ শুরু হয়ে চলমান। টার্সিয়ারী সেচ ক্যানেল টি১ টি২ টি৩ টি৪ এস৫ডি ১৩ কোটি ৮৬ লাখ টাকায় চুক্তিতে কাজ করছেন অসিম কনস্ট্রাকশন, সেকেন্ডারি সেচ ক্যানেল এস৪ডি ১৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার চুক্তিতে কাজ করছেন মিজানুর আলম (জেভি), টার্সিয়ারী সেচ ক্যানেল টিআইএস৬ডি ৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকার চুক্তিতে ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স কাজ করছেন, সেকেন্ডারি সেচ ক্যানেল এস৬ডি ১০ কোটি ৬৬ লাখ টাকার চুক্তিতে কাজ করছেন মেসার্স কহিনুর অ্যান্ড একেএ (জেভি)। কাজগুলোর মধ্যে চলমান অবস্থায় রয়েছে ঞওঝ৫উ ২.৭২ কিলোমিটার নীলফামারী কালীতলা থেকে তৈলামিয়া স্কুল পর্যন্ত, ঞ২ঝ৫উ ২.৯৯ কিলোমিটার দারোয়ানি টেক্সটাইল মিলের পেছন থেকে দারোয়ানির শেষ মাথা পর্যন্ত কাজটি চলমান রয়েছে, ঞ৩ঝ৫উ ৩.৩৮ কিলোমিটার সৈয়দপুর সিংগীমারী ব্রিজ থেকে সৈয়দপুর কারখানার পেছন পর্যন্ত এবং ঞ৪ঝ৫উ ৪.৫৯ কিলোমিটার শুরু সিংগীমারী ব্রিজ থেকে, কাজের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, কাজ শুরুর পথে বলে জানান নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী উপ-প্রকৌশলী আশরাফুল আলম। এরমধ্যে ঝ৪উ ১৭.১১ কিলোমিটার নীলফামারী কালীতলা থেকে কামার পুকুর হয়ে বোতলাগাড়ী ইউনিয়নে ঢুকেছে এবং কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। সরেজমিন গিয়ে কাজের অগ্রগতি দেখা যায়, নীলফামারী কালীতলার বাসিন্দা অমল কুমার রায় বলেন খুব ভালো কাজ হচ্ছে, খরা মৌসুমে আর সেচের পানির চিন্তা করতে হবেনা। এ বিষয়ে কামার পুকুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার সরকার বলেন, বর্তমান সরকারের সবচেয়ে ভালো কাজ হলো এই তিস্তা সেচ পুনর্বাসন সম্প্রসারণ কাজ। বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের বুদ্ধির বাজার এলাকার সিদ্দিক মিয়া জানায়, কেবল কাজ শুরু হয়েছে, এখনো সমাপ্ত হতে মাসখানেক লাগবে। নীলফামারী জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সৈয়দপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মহসিন মন্ডল মিঠু আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, এই সেচের পানির কারণে প্রতিবছর কৃষকরা ফসল ফলাতে কষ্ট করতেন কিন্তু জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সেই কষ্ট দূর করতে এই সেচ প্রকল্প দিয়েছেন এবং কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান আতিক আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, খুব শিগগিরই তিস্তা সেচ প্রকল্পের সুফল ভোগ করবেন এই এলাকার মানুষ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত