ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

শালিখায় পরিবেশ বিধ্বংসী ঘাসমারা বিষের ছড়াছড়ি

শালিখায় পরিবেশ বিধ্বংসী ঘাসমারা বিষের ছড়াছড়ি

রাস্তার দুই পাশের ঢালু জায়গা, মেঠোপথ কিংবা খেতের আল যেখানেই ঘাসে ঘন সবুজ দেখা যেত সেখানেই এখন হলুদ চটচটে হয়ে থাকতে দেখা যায়। কৃষিতে বিভিন্ন কোম্পানির তৈরি ঘাসমারা বিষের আগমন ঘটায় পরিবেশের এমন রুক্ষ্ম চেহারা শুধু নয়, অনেক ক্ষতিও হচ্ছে। চলতি আউশ, আমন ধান রোপণের মৌসুমে শালিখা উপজেলার প্রত্যেকটি গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, চাষিরা খেতে চারা রোপণের চার-পাঁচ দিনের মধ্যে জমিতে ঘাসমারা বিষ প্রয়োগ করছেন। কারণ জানতে চাইলে তারা জানান, এতে ধানের জমিতে ঘাস হবে না। ঘাস হলে নিড়ানি দিতে লোক লাগে। তাদের দিয়ে কাজ করাতে যে খরচ হয় সে টাকাটা সাশ্রয় হয়। ধানের চারায় ঠিকমতো খাদ্য পায়। এ বিষে পরিবেশের কোনো ক্ষতি করে কি না জানতে চাইলে বেশিরভাগ চাষিই কিছু বলতে পারেন না। পরিবেশ বিশারদগণ সব সময় বলেন, বিষ মানেই পরিবেশ বিধ্বংসী। বিংশ শতাব্দিতে কীটনাশকের আগমন ঘটার পর থেকে আমাদের দেশের অনেক পাখপাখালি হারিয়ে গেছে। নদী, খাল বিল থেকে অনেক মাছ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। ঘাসমারা বিষের কারণে পরিবেশের ভারসম্য বিনষ্ট হচ্ছে। বিষের প্রভাবে ফসলের উপকারী তথা বন্ধু পোকা ও পোকার ডিম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পোকা খেয়ে ফেলার জন্য যে বিভিন্ন প্রজাতির ব্যাঙ ছিল, আজকের দিনে তাও আর দেখা যায় না বললেই চলে। ঘাস মরে যাওয়াতে গবাদি পশুর খাবারের অভাব দেখা দিচ্ছে। ফলে খড় বিছালির অভাবও প্রকট হচ্ছে দিন দিন। এছাড়া বিষের প্রভাবে জমির উর্বরা শক্তি হ্রাস পাচ্ছে প্রবলভাবে। অবশ্য এসব ক্ষতিকর দিক প্রসঙ্গে চাষিদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা খুবই জরুরি। এই সচেতনতা সৃষ্টির জন্য এলাকার সচেতন ও বোদ্ধারা কৃষিবিভাগের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত