ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে চলছে মাছ, কাঁকড়া ও হরিণ শিকার

নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে চলছে মাছ, কাঁকড়া ও হরিণ শিকার

জুন, জুলাই, আগষ্ট তিন মাস সুন্দরবনের সম্পদ আহরণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বন বিভাগ। এ সময় মাছ, কাঁকড়া, মধু আহরণের পাস পারমিট বন্ধ রয়েছে। কিন্ত অসাধু জেলে ও চোরা শিকারি চক্রের ছোবল থেকে রেহাই পাচ্ছে সুন্দরবনের সম্পদ। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিম সুন্দরবনের খুলনা ও সাতক্ষীরা রেঞ্জের বিভিন্ন খাল ও ভারানীতে বিষ প্রয়োগ করে বিপুল পরিমাণ চিংড়ি মাছ শিকার করছে বনাঞ্চল সংলগ্ন অসাধু জেলেরা। এর পাশাপাশি জেলেরা কাঁকড়া শিকার কওে ঘড়িলাল, পাতাখালি, গোলখালি, আংটিহারা, জোড়শিং, কাটকাটা, দেউলিয়া বাজার, কয়রা বাজার, ৬নং কয়রা, হড্ডা, খোড়লকাটি বাজারসহ অন্যত্র ছোট বড় শতাধিক ডিপোয় বেচাবিক্রি করছে। উত্তর বেদকাশির পদ্মপুকুর গ্রামের বোর্ট ঘাট থেকে স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী রাজ্জাক ফকির প্রতিনিয়ত মণ মণ চাকা চিংড়ি ট্রলারযোগে গাবুরার সনাতনের ডিপোয় বেচাবিক্রি করে আর্থিক ফায়দা লুটে নিচ্ছে। দক্ষিণ বেদাকাশির খালের গোড়া থেকে রাতের অন্ধকাওে ট্রলারযোগে বরফভর্তি বড় বড় ড্রামে চিংড়ি ও হরিণের মাংস কপোতাক্ষ নদ দিয়ে শ্যামনগর ও সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকায় পাচার করছে চোরাকারবারীরা। উত্তর বেদকাশির গাববুনি, ৫,৬ ও ৪নং কয়রার একাধির রুট দিয়ে রাতের অন্ধকারে মাছ, কাঁকড়া, হরিণের মাংস পাচার করছে স্থানীয় কয়েকটি চোরা শিকারি চক্র। গত শনিবার রাতে ৫নং কয়রার লঞ্চঘাট সংলগ্ন রফিকুল সরদারের বাড়ির পাশ দিয়ে সুন্দরবন থেকে বিষ প্রয়োগে শিকার করা চিংড়ি ও হরিণের মাংস পাচার করেছে স্থানীয় চোরা শিকারি চক্র। খবর পেয়ে কাশিয়াবাদ ফরেষ্ট ষ্টেশন কর্মকর্তা সঙ্গীয় বনরক্ষীদের নিয়ে ধাওয়া দিয়ে ১৫০ কেজি চিংড়ি আটক করে। চোরাকারবারীরা আগেভাগে হরিণের মাংস নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। হড্ডা বন ফাঁড়ির নিকটবর্তী হোগলা স্লুইস গেট সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে ভাগবা হয়ে প্রতিনিয়ত পাচার হচ্ছে সুন্দরবনের চিংড়ি, রেনু পোনা ও কাঁকড়া। গত বুধবার বিকেলে হড্ডায় বনাঞ্চল সংলগ্ন কাঁকড়া ব্যবসায়ী উত্তমের বাড়িতে গিয়ে বিপুল পরিমাণ কাঁকড়া দেখতে পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত