ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা

প্রকাশ : ৩১ জুলাই ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা এ তথ্য জানায়। এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা শিক্ষার্থীরা ঢাকার নেতাদের সঙ্গে এক জুম মিটিং শেষে এ সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেন।

ওই জুম মিটিংয়ে অংশ নেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে থাকা অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী তৌকির আহমেদ, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফিহাদ হোসেন, বিএমবি বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সুখি আক্তার, জুনায়েদ আলি প্রমুখ।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া শিক্ষার্থীরা জানান, দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হওয়ায় মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সাধারণ শিক্ষার্থী এই আন্দোলনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেছিলেন। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সাধারণ শিক্ষার্থীরা টানা কয়েকটি দিন শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেছে।

গত ১৭ জুলাই হল বন্ধ করে দেয়ার পরে সব সাধারণ শিক্ষার্থী তাদের বাসায় চলে যায় এবং কোনো প্রকার আন্দোলন, বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা বা কোনো প্রকার সহিংসতার সাথে তারা কোনোভাবেই সম্পৃক্ত হয়নি। সংগঠিত সহিংসতার সাথে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের কোনো প্রকার সম্পর্কও নেই।

তারা জানায়, এমতাবস্থায় কোটা সংস্কার হওয়ায় মহামান্য আদালতের রায়ের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।

কোটা সংস্কারের দাবি আদায়ে যেসব শিক্ষার্থী শহীদ হয়েছেন, দাবি আদায়ের জন্য যারা রক্ত দিয়েছেন তাদের যেন সরকারের পক্ষ থেকে পূর্ণ সহায়তা এবং সঠিক তদন্ত করে ন্যায়বিচার পাইয়ে দেয়া হয়- সেজন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানায়, এ আন্দোলনে যেসব সাধারণ শিক্ষার্থী শহীদ হয়েছে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের শোকাহত পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানান। কাউকে যেন অযথা কোনো হয়রানি বা মিথ্যা মামলায় জড়িত না করে তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তা কামনাসহ বিশ্ববিদ্যালয় অবিলম্বে খুলে দেয়ার আহ্বান জানান।