ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

তিতাসে বর্ষাকে ঘিরে জমজমাট নিষিদ্ধ জালের ব্যবসা

জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষেও নেই তদারকি
তিতাসে বর্ষাকে ঘিরে জমজমাট নিষিদ্ধ জালের ব্যবসা

কুমিল্লার তিতাসের বাতাকান্দি বাজারের জমজমাট নিষিদ্ধ জালের ব্যবসা। প্রতি বুধবার সাপ্তাহিক হাট হিসেবে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বড় মসজিদ সংলগ্ন পুকুর পাড়ে নতুন পুরাতন নিষিদ্ধ জাল বিক্রি হয়ে আসছে। সরেজমিনে গতকাল বুধবার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি সপ্তাহের মতো খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতারা তাদের জালের পরসা সাজিয়ে বসে আছে। অনেকে আবার ছেড়া-ছিদ্র দেখে দেখে দরদাম করছেন। ক্রেতা-বিক্রেতা একমত হলে জাল ব্যাগে ভর্তি করে দেয়া হয়। এরই মধ্যে হাজির হয় ইজারাদার। নিষিদ্ধ জাল বেচাকেনা হলেও এখানেও আছে ইজারাদার। জালের ক্রয়ের টাকার উপর নির্ভর করে ইজারাদারের টাকা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কুমিল্লার জেলার দাউদকান্দি, মেঘনা, হোমনা, মুরাদনগর ও দেবিদ্বারসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের মধ্যে সবচেয়ে বড় নিষিদ্ধ জাল বিক্রির স্থান হলো তিতাসের বাতাকান্দি বাজার। এখানে দুইভাবে জাল বিক্রি হয় খুচরা ও পাইকারি। মূলত বাতাকান্দি বাজারের জালগুলোই পাশ্ববর্তী বিভিন্ন উপজেলার হাটগুলোতে বিক্রি হয়ে থাকে। অভিযোগ আছে, উপজেলা প্রশাসনের মৎস্য অফিসের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই এই জাল প্রকাশে বিক্রি হয়ে আসছে। ২০২২ সালের ৩ আগস্ট সর্বশেষ অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ জাল জব্ধ ও একাধিক বিক্রেতাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হলেও অদ্যবধি আর কোনো অভিযান পরিচালনা করা হয়নি। উপজেলা মৎস্য অফিসার মোসাম্মৎ নাজমা আক্তার বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। অভিযান করার কথা ছিল কিন্তু স্যার বদলি হওয়াই অভিযান চালানো হয়নি। তবে নতুন উপজেলা নির্বাহী অফিসার যোগদান করলে আমরা পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেব।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত