পৌরসভা মেয়রের উদ্যোগ
ফেনীতে তৈরি হচ্ছে দৃষ্টি নন্দন বঙ্গবন্ধু স্কয়ার
প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
ফেনী প্রতিনিধি
ফেনী শহরের কলেজ রোডের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ সংলগ্ন স্থানে নির্মাণ করা হচ্ছে দৃষ্টি নন্দন বঙ্গবন্ধু স্কয়ার। এই নিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজি। এখানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাশাপাশি তার সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব, ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেলের ম্যুরাল থাকছে। নিজস্ব অর্থায়নে এটি নির্মাণ করছে ফেনী পৌরসভা। পৌরসভার সূত্র জানায়, পৌরসভার রাজস্ব খাত থেকে ফেনী শহরে বঙ্গবন্ধু স্কয়ার তৈরি ও মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ প্রাঙ্গণে সৌন্দর্যবর্ধনের উদ্যোগ নেয়া হয়। ৫২ লাখ ৪৯ হাজার টাকা ব্যয়ে এর নির্মাণ কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। তার পাশেই স্থাপন হচ্ছে একটি টাওয়ার। সেখানে সবার জীবনবৃত্তান্ত ও ফেনীর ইতিহাস-ঐতিহ্যের সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হবে। সূত্র আরো জানায়, ৯ ফুট ৩ ইঞ্চি উচ্চতা ও দৈর্ঘ্য ৮ ফুট ৩ ইঞ্চি সাইজে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি হবে। অন্য সবকটি হবে ৭ ফুট ৫ ইঞ্চি সাইজের। আগামী ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের দিন এটি উদ্বোধনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। ম্যুরালটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য উন্মুক্ত করা হবে বলে জানা গেছে। এটি নির্মাণের দায়িত্ব পেয়েছে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মোমিন এসোসিয়েট।
দেখা গেছে, নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর মুর্যাল নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ। আজ-কালের মধ্যে অন্য মুর্যালগুলোর কাজও শুরু হবে। পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী নিজেই শুরু থেকে বঙ্গবন্ধু স্কয়ার নির্মাণ কাজের সার্বিক খোঁজখবর রাখছিলেন। গত সোমবার রাতে জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপিও নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন। পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী জানান, শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের আঙ্গিনায় বঙ্গবন্ধুর মুর্যাল থাকলে তার পরিবারের অন্য সদস্যদের কোন ম্যুরাল নেই। বাংলাদেশের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই ফেনী পৌরসভার উদ্যোগে নতুন আঙ্গিকে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভের পাশেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব, তিন ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেলের ম্যুরাল তৈরি করা হচ্ছে। এতে করে শহরের সৌন্দর্য্য বাড়ার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর চেতনা সমুন্নত থাকবে বলে তিনি মনে করেন।