ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সিরাজগঞ্জ চরাঞ্চলে বিপুল টাকা ব্যয়

নির্মাণাধীন মুজিব কিল্লা ধসের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

নির্মাণাধীন মুজিব কিল্লা ধসের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

যমুনা নদীর তীরে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার চরাঞ্চলে নির্মাণাধীন মুজিব কিল্লার একাংশ ধসে পড়েছে। এ ঘটনায় ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ গঠিত কমিটি এরমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ওই উপজেলার চরাঞ্চলের চর-গিরিশ এলাকায় প্রায় সোয়া ২ কোটি টাকা ব্যয়ে এ মুজিব কিল্লা নির্মাণকাজ শুরু করে। গত মাসের শেষদিকে এ প্রকল্প নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার ছিল। কিন্তু নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই যমুনার স্রোতে একাংশ ধসে পড়েছে।

২০২২ সালের ৪ ডিসেম্বর স্থানীয় এমপি প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় এটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। নির্বাচিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এ কাজ বাস্তবায়ন করছে। নির্মাণাধীন এ মুজিব কিল্লার একাংশ যমুনার স্রোতে ধসে পড়ে গত মাসের প্রথম সপ্তাহে। নদীভাঙন ও ঘূর্ণিঝড়সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে চরাঞ্চলের মানুষের জানমাল রক্ষায় নির্মিত এ মুজিব কিল্লা টিকবে কি না তা নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে। নদীর পানি নিষ্কাশনের জন্য মুজিব কিল্লার পূর্ব পাশে একটি কালভার্ট রয়েছে এবং ২ বছর আগে বন্ধ করে দেয়া হয়। যমুনার স্রোতে নির্মিত স্থাপনার নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় মুজিব কিল্লার একাংশ ভেঙে পড়ে যায়। বি-টাইপের এ স্থাপনার আয়তন ৯ হাজার ৩০০ বর্গফুট। দুর্যোগকবলিত এলাকার জনসাধারণ ও তাদের পরিবারের জীবনরক্ষা, মূল্যবান দ্রব্যসামগ্রী নিরাপদে সংরক্ষণ এবং দুর্যোগে আক্রান্ত গৃহপালিত প্রাণীর নিরাপদ আশ্রয় নিশ্চিত করা। স্বাভাবিক সময়ে এ প্রকল্পের বহুমুখী ব্যবহার করা যাবে। শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা, খেলার মাঠ ও হাটবাজার হিসেবে ব্যবহার করা, কমিউনিটির উন্নয়নের লক্ষ্যে বৈঠক-সভার আয়োজন করা, প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের স্থান ও অস্থায়ী সেবাকেন্দ্র হিসেবে এটি ব্যবহারের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

ওই প্রকল্প টিকবে কি না তা যাচাই-বাছাই করার জন্য ৩ সদস্যের একটি কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ্এরমধ্যেই গঠিত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ বিষয়ে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় এর ভেতরে গরু-ছাগল এবং মানুষের থাকা-খাওয়া, প্রসাব-পায়খানা ও গোসলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এবং নারী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা আছে। ওই প্রকল্পের কাজ এরমধ্যেই ৮০ ভাগ শেষ হয়েছিল। যা গত মাসের শেষ দিকে শেষ হওয়ার কথা। যমুনার স্রোতে এক অংশ ধসে গেছে। কি কারণে ধসে গেছে, সে বিষয়ে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি এরমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছেন। কমিটির প্রতিবেদন পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত