আমন ধান রোপণের ভরা মৌসুম চলছে শালিখার মাঠে মাঠে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত খেত-খামারে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষক আর কামলারা। কাজের চাপে তাদের সকালে খাওয়ার কাজ মাঠেই সারতে হচ্ছে। তারপর আছে রোদ আর বৃষ্টি। কখনো কাঠফাটা রোদ, কখনো বা রিমঝিম বৃষ্টি।
এর মাঝেই নিরন্তর কাজ করে চলেছে উপজেলার কৃষক কামলা মিলে। উপজেলার গ্রামে গ্রামে গিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে গত বছরের তুলনায় এ বছরে ধান চাষের পরিমাণ কিছুটা কমে এসেছে। নদী, খাল, বিলে পর্যাপ্ত পানি না হওয়ার কারণে পাট চাষের পরিমাণও কমে গেছে। সেসব জমিতে এবার ধান চাষ করা হচ্ছে আবার নদীতে লবণাক্ত পানি আসার কারণে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কায় অনেক জমি ফেলে রাখা হয়েছে রবি শস্য করার জন্য। উপজেলার দীঘলগ্রামের চাষি মো. গোলাম নবী শিকদার বলেন, ‘আমাদের এলাকায় ধান পাট সবজিসহ সব ধরনের চাষ খুব ভালো হয়। তবে আমরা মূলত ধানের চাষই বেশি করি। এ বছরের শুরু থেক খরা আর অনাবৃষ্টির কারণে চাষের কাজ দেরিতে শুরু করা হয়েছে।
তারপরও নদীতে লোনা পানি আসার কারণে ফসলের ওপর তার কতটা প্রভাব পড়বে তা নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় আছি আমরা। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসের দেয়া তথ্যে যে হিসাব পাওয়া গেছে তা হলো গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে রোপা আমন চাষের অর্জিত ফল হিসাবে ১৪৫৮০ হেক্টর জমি ছিল। ২০২৩-২৪ অর্থ-বছরে এ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৪৫৬৩ হেক্টর।
সেখানে চলতি অর্থ-বছরে অর্জিত ফল হিসেবে সেই জমির পরিমাণ নেমে এসেছে ১০২০০ হেক্টর-এ। রোপা আমন মৌসুম সম্পর্কে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আমরা কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করছি। এজন্য আমাদের প্রতিটি ইউনিয়নে এক বা একাধিক উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রয়েছেন। তাদের ইনফরমেশানে আমরা কৃষকদের মাঝে বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে থাকি।’