গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতন

জেলায় জেলায় আনন্দ মিছিল

প্রকাশ : ০৬ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ত্যাগের খবরে গতকাল সোমবার সারাদেশে আনন্দ মিছিল হয়েছে। সেই সাথে মসজিদে মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি মসজিদে মসজিদে নামাজের পর দোয়া এবং মোনাজাত করেছেন ইমামরা। দেশে স্বাধীনতা এবং মানুষের মাঝে যেন শান্তি ফিরে আসে এই দোয়া করা হয়। মোনাজাতে তারা বলেন, হে আল্লাহ আমাদের দেশে মানুষের মাঝে শান্তি ফিরিয়ে দাও। দেশকে শান্তির আবাসভূমি বানিয়ে দাও। সকল অশান্তি দূর করে দাও। যে সকল ছাত্র শহীদ হয়েছে তাদের তুমি জান্নাতবাসী করো। আলোকিত বাংলাদেশের জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

রংপুর : রংপুর নগরীসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার মানুষ বৃষ্টির মধ্যে উল্লাস করতে থাকে। তারা বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিভিন্ন অলিগলিতে আনন্দ প্রকাশ করতে থাকে। শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষরা রাস্তায় এসে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে আনন্দে মেতে উঠেন। বিকাল ৩টার পর আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে রংপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জমায়েত হতে থাকে। অনেকে মিষ্টি খেয়েছেন, বিতরণ করেছেন। আনন্দ মিছিলে আসা রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী লোপা জান্নাত তুসি জানান, কোটা বিরোধী আন্দোলনে আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাই আবু সাঈদকে হারিয়েছি। আবু সাঈদ আমাদের সাহস জুগিয়েছে এই আন্দোলনে। আবু সাঈদকে যে দিন গুলি করে হত্যা করা হয়, সেদিন আমরা শপথ নিয়েছিলাম বিজয় ছাড়া আমরা ঘরে ফিরব না। কিন্তু এই আনন্দ ভাই আবু সাঈদ দেখে জেতে পারল না। আমরা চাইনি সরকারের পতন। সরকার তার পতন নিজেই ডেকে এনেছে। রিকশাচালক আমিনুল ইসলাম জানান, শেখ হাসিনা দ্রব্য মূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারে নাই। সবকিছু জিনিষের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের মতো খেটে খাওয়া মানুষদের কষ্টের মধ্যে জীবন যাপন করতে হয়েছে। আগামীতে যারা দেশের ভার নিবেন তারা যেন জিনিষপত্রের নিয়ন্ত্রের মধ্যে রাখে।

চট্টগ্রাম : নগরীর বিভিন্ন স্থানে বিজয় উল্লাস করছেন ছাত্র-জনতা ও সর্বস্তরের জনগণ। জাতীয় পতাকা উড়িয়ে, মাথা, বুক ও পিঠে জাতীয় পতাকা বেঁধে স্লোগান দেন নানা বয়সি মানুষ। অনেকে ছেলে-মেয়ে ও শিশুসন্তানদেরও নিয়ে আসেন মিছিলে-জমায়েতে। গণমাধ্যমে পদত্যাগের খবর প্রচার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় নেমে আসে মানুষ। সরেজমিন দেখা গেছে, নগরীর নিউমার্কেট মোড় লোকে-লোকারণ্য ছিল। বিজয়ের হাসি ছিল সকলের চোখে মুখে। নগরীর বিএনপি কার্যালয় সংলগ্ন কাজীর দেউড়ি মোড়ে হাজারো ছাত্র-জনতার জমায়েত। তারা নেচে গেয়ে বিজয় উল্লাসে মেতে ওঠেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্লোগানগুলো মুহুর্মুহু দিতে থাকেন। বেশি স্লোগান ছিল ‘জেগেছেরে জেগেছে ছাত্র-জনতা জেগেছে’, ইত্যাদি। মিছিল দেখতে বিভিন্ন সড়কের দু’পাশের অলিগলিতে গৃহবধূরাও ভিড় করেন। খুশিতে মিছিল ও জমায়েতে মিষ্টি, চকলেট ও পানি বিতরণ করেন অনেকে।

খুলনা : খুলনার সড়কে নেমে এসেছে ছাত্র-জনতা। নগরের শিববাড়ী মোড়ে জড়ো হতে থাকে ছাত্র-জনতা। সময় বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে নামে ছাত্র-জনতার ঢল। বিজয় উল্লাসে ফেটে পড়েন শিববাড়ী এলাকায় থাকা হাজার হাজার মানুষ। বিতরণ করেন মিষ্টি। এ সময় নগরীর বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ পায়ে হেঁটে, সাইকেল, ভ্যান, রিকশা, ইজিবাইকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে শিববাড়ীর দিকে ছুটতে থাকেন। মিছিলে মিছিলে উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো খুলনা। অনেকেই বলছেন দেশ আবার নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। শিববাড়ী মোড়ে গিয়ে দেখা গেছে, হাজারো মানুষের ভিড়। বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত মানুষ সড়কে নেমে পড়ছেন। বেশিরভাগ মানুষের হাতে জাতীয় পতাকা। অনেকে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে এসেছেন। নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী আয়শা আক্তার জ্যোতি বলেন, ভাষা আন্দোলন দেখিনি, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি। তবে আমি ২০২৪ দেখলাম। ছাত্র-জনতার বিজয় হয়েছে। মানুষের এই উল্লাস দেখার মতো। আরেক স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণ করেছি। বিজয় দেখে মনে হচ্ছে দেশ আবার নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। মানুষের মধ্যে তেমনই আনন্দ উল্লাস বিরাজ করছে।

কাপাসিয়া (গাজীপুর) : গাজীপুরের কাপাসিয়ার আপামর জনতাও বিজয়ের আনন্দের জোয়ারে সামিল হয়েছে। মিছিলে মিছিলে মুখরিত হয়ে পড়ছে কাপাসিয়ার প্রতিটি অলিগলি। সরকার পতনে আভাসে বিজয় মিছিলের প্রস্তুতি নি্িচ্ছল কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দেলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিকেল ৪টায় কাপাসিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে কয়েক হাজার মানুষের মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত দফায় দফায় এ আনন্দ মিছিল চলতে থাকে। এ সময় মিছিলে অংশগ্রহণকারীসহ বিভিন্ন মানুষের মাঝে গণহারে মিষ্টি বিতরণ করতে দেখা গেছে। এ সময় কাপাসিয়ায় মিষ্টির দোকানে মিষ্টি সংকট দেখা দেয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া : জেলাজুড়ে বিজয় মিছিল ও ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে কোটা আন্দোলনকারীসহ সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে উল্লাস শুরু করে। এ সময় শহরের টেংকের পাড়, বিরাসার, কান্দিপাড়া, শিমরাইলকান্দি, হাসপাতাল রোড, কুমারশীল মোড়, মেড্ডাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে নারী-পুরুষ, শিশুসহ সাধারণ জনতা রিকশায় চড়ে, পিকআপ ভ্যানে করে ও মোটরসাইকেলে জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে শোডাউন করে আনন্দ মিছিল বের করে।

ফুলপুর (ময়মনসিংহ) : আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের খবর জানার পর থেকে ফুলপুর আনন্দের জোয়ারে ভাসছে। ফুলপুর সদরসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আনন্দ মিছিল হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ময়মনসিংহ-শেরপুর সড়কের ফুলপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় হাজার হাজার জনতার শুরু হওয়া আনন্দ মিছিল করা হয়।

টাঙ্গাইল : শেখ হাসিনার দেশত্যাগের খবরে আনন্দ মিছিল করেছে টাঙ্গাইলের শিক্ষার্থী-অভিভাবক সমাজ। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অভিভাবকরাও এ আনন্দ মিছিলে যোগ দেয়। প্রথমে টাঙ্গাইল শহীদ মিনার চত্বর ও পুরাতন বাস স্ট্যান্ডে জড়ো হয় শিক্ষার্থীরা। পরে মিছিলটি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

বান্দরবান : শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছাড়ার খবরে বান্দরবানে অনন্দ মিছিল করেছে সাধারণ মানুষ। বিকেলে শহরের ট্রাফিক মোড়ে এ আনন্দ মিছিল করা হয়।

ঝিনাইদহ : শেখ হাসিনার পতনের খবরে শিক্ষার্থীরা শহরের পায়রা চত্বরে রং খেলায় মেতে ওঠেন। অনেকেই উঁচু স্থানে উঠে জাতীয় পতাকা নিয়ে স্লোগান দেয়। পুরো শহর উৎসবে মেতে ওঠে।

ভোলা : জাতীয় পতাকা নি?য়ে আনন্দ মিছিল করেছেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। এসময় তারা বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা থেকে স্লোগান দিয়ে শহরের সদর রোড বিভিন্ন সড়ক পদক্ষিণ করে বাংলাস্কুল মোড়ে এসে জড়ো হন।

বরিশাল : বরিশালের রাজপথে বিজয় উল্লাস করেছে ছাত্র-জনতা। নগরীর সদর রোড, নথুল্লাবাদ, রূপাতলীসহ বিভিন্ন এলাকায় আনন্দ মিছিল বের করে জনসাধারণ। এ সময় তাদের হাতে জাতীয় পতাকা নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে। নগরীর সদর রোড লোকে-লোকারণ্য হয়ে যায়। তারা বিভিন্ন এলাকা থেকে পৃথক মিছিল নিয়ে সদর রোড অতিক্রম করে। এসব মিছিলে শিশু, ছাত্র-জনতাদের উল্লাস করতে দেখা যায়। এছাড়া নগরীর নথুল্লাবাদে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আনন্দ মিছিল নিয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ফটকের পৌঁছান। এবার পুরো বরিশাল নগরী ছিল ছাত্র-জনতার দখলে। এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে রাজপথ মুখরিত করে রাখে। রিকশাচালক আবদুল মজিদ বলেন, ছাত্র-জনতার বিজয় হয়েছে। তাই তাদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে রিকশা নিয়ে যোগ দিয়েছি।

কুমিল্লা : ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন’ গণমাধ্যমে এমন খবরে কুমিল্লা নগরীসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অনন্দ মিছিলে মেতে ওঠেন ছাত্র-জনতাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

ভান্ডারিয়া (পিরোজপুর) : চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতের স্মরণে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় গায়েবানা জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে উপজেলায় অনন্দ মিছিলে মেতে ওঠেন ছাত্র-জনতাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

মেহেরপুর : বিজয় মিছিল মেতে ওঠেন ছাত্র-জনতাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

নীলফামারী : মিছিলের নগরীতে পরিণত হয় নীলফামারী। পৌর এলাকার গাছবাড়ী থেকে চৌরঙ্গীর মোর পর্যন্ত লোকজনে পরিপূর্ণ হয়ে যায়, জেলা যুবদলের সভাপতি এএইচএম সাইফুল্লাহ রুবেল ও ছাত্রদলের সভাপতি মারুফ পারভেজ প্রিন্স ও পৌর বিএনপির সভাপতি মাহবুবুর রহমান ও অ্যাডভোকেট আল মাসুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে বিশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে জলঢাকা, ডিমলা, ডোমার সৈয়দপুর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় আনন্দের মিছিল বের হয় সরকার পতনে।

ঠাকুরগাঁও : আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আনন্দ-উল্লাসে মেতেছেন অভিভাবকরাসহ জনসাধারণ। আনন্দ-উল্লাসে রাজপথে ও শহীদ মিনা এলাকায় মানুষের ঢল নামে। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আনন্দ-মিছিল বের করেন ছাত্রসমাজসহ সাধারণ মানুষ। আনন্দ মিছিলগুলো শহরের চৌরাস্তা দিয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় মানুষদের দেখা যায়, সড়কে সেনাসদস্যদের গাড়ি থামিয়ে তাদের বুকে জড়িয়ে ধরতে ও তাদের সঙ্গে হাত মেলাতে। পরে আনন্দ উল্লাস করতে করতে সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে (বড় মাঠ) অবস্থিত জেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জমায়েত হয়ে হাজারও মানুষ আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেন। চাঁদপুরে ছাত্র-জনতার বিজয় উল্লাস, আওয়ামী পন্থিদের স্থাপনায় আগুন।

চাঁদপুর : চাঁদপুরে জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে বিজয় উল্লাসে সড়কে নেমে আসে ছাত্র জনতা। সব বয়সি লোকজনই এই আনন্দে সামিল হয়। তারা শহরের বাবুরহাট থেকে শুরু করে, ওয়ারলেছ, ষোলঘল, বাসস্ট্যান্ড, ইলিশ চত্বর, স্টেডিয়াম রোড, মিশন রোড, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সড়ক, কালিবাড়ী, নতুন বাজার এলাকায় হাজার হাজার ছাত্রজনতা বিজয় মিছিল নিয়ে উল্লাস করে। এ সময় অনেকেই মিষ্টি বিতরণ করতে দেখা যায়। বিকাল ৪টার পরে শহরে প্রবেশ করে সেনাবাহিনী। তারা ছাত্র-জনতার আন্দন মিছিলে সামিল হয়। পুরো শহরে সেনাবাহিনীর সদস্যর টহল দিয়ে চলে যায়। এদিকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের কারণে শহরের বাসবাড়ি থেকে বিএনপি, জামায়াত-শিবির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা মিছিল নিয়ে বের হয়। তারা পুরো শহর প্রদিক্ষণ করে। বহু বছর পরে রাজনৈতিক দলের এমন উল্লাস সকলে স্বাগত জানায়।

পাবনা: পাবনায় বিজয় মিছিল করছে সর্বস্তরের সাধারণ জনগণ। এ সময় শহরের আব্দুল হামিদ রোডের সব মিষ্টির দোকান ভেঙে জনতার মাঝে সব মিষ্টি বিতরণ করা হয়। শহরের টার্মিনাল থেকে শুরু করে অনন্ত মোড় হয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে বের হয় জনতা। ট্রাফিক মোড়ে লাখো জনতার সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

নারায়ণগঞ্জ : বিজয় উল্লাস করেছে নারায়ণগঞ্জবাসী। শেখ হাসিনা পদত্যাগ করছে এমন সংবাদ চাউর হতেই বিজয় উল্লাস শুরু করতে থাকে আন্দোলনকারীরা। বিজয়ের হাসি ছিল সবার চোখে-মুখে। মানুষের এই উল্লাস ছিল দেখার মতো।