ঢাকা ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চিংড়ি ঘের ও রোপা আমনের বীজতলা তলিয়ে একাকার

চিংড়ি ঘের ও রোপা আমনের বীজতলা তলিয়ে একাকার

গত দু’দিনের অবিরাম বৃষ্টিতে খুলনার সুন্দরবন উপকূলীয় জনপদ কয়রায় চিংড়ি ঘের, রোপা আমনের বীজতলা, নিচু জমি, ও তরকারির খেত খামার তলিয়ে গেছে। কয়রা, সদর, উত্তর ও দক্ষিণ বেদকাশি, মহারাজপুর, মহেশ্বরীপুর, বাগালী ইউনিয়নের ছোট বড় সহস্রাধিক চিংড়ি ঘের বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে একাকার। এ অবস্থায় চিংড়ি চাষিরা বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। ৫ নং কয়রা গ্রামের চিংড়ি চাষি রাজ্জাক মল্লিক জানিয়েছেন, গত বুধবার ঘেরে ৩৫ হাজার টাকার বাগদার পোনা ছাড়া হয়েছে। দু’দিনের বিরামহীন বৃষ্টিতে ঘেরের রাস্তা ডুবে যাওয়ায় পোনা আশপাশের ঘেরে ঢুকে পড়ায় তিনি দুশ্চিন্তায় ভুগছেন। ১ নং কয়রার মাঝের আইট গ্রামের ঘের মালিক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, অতি বর্ষণে তার ৫ বিঘার জমির ঘের তলিয়ে যাওয়ায় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ৬ নং কয়রার ঘের মালিক আলাউদ্দিন গাজী বলেন, অতি বৃষ্টিতে শতাধিক ঘের ডুবে একাকার হয়ে যাওয়ায় চিংড়ি চাষিরা বিপাকে পড়েছে। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বেশিরভাগ রোপা আমনের বীজতলা তলিয়ে যাওয়ায় চাষিরা শংকায় ভুগছেন। অনেক জায়গায় ঠিকমতো পাানি নিস্কাশনের সুযোগ না থাকায় বীজতলা নষ্ট হয়ে যেতে পারে এমন আশংকার কথা জানিয়েছেন ৬ নং কয়রার কৃষক বিধান মণ্ডল ও মনোরঞ্জন মণ্ডল। শ্রাবণের শেষ সময়ে বীজতলা নষ্ট হয়ে গেলে পুনরায় বীজতলা তৈরি করা কৃষকের পক্ষে সম্ভব হবে না।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত