ছাত্রজনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। আর এই খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে পতাকা হাতে মিছিল নিয়ে উল্লাস করতে মৌলভীবাজার শহরের রাজপথে নেমে আসে নানা শ্রেণি-পেশার হাজার হাজার মানুষ। বিজয়ের উল্লাসে নানা স্লোগানে মুখরিত করে তোলেন মৌলভীবাজারের রাজপথ। শহরের চৌমহনাতে অল্প সময়ের মধ্যে বৃষ্টি অপেক্ষা করে কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হন।
সেখানে প্রায় ঘণ্টাখানেক সময় অবস্থান করে আনন্দ মিছিল করেন। এ সময় আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনাবিরোধী নানা স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। উঁচু দালানের ছাদে উঠে তারা লাল সবুজের পতাকা উড়াতে থাকেন। এরপর তারা মিছিল নিয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিজয়ের আনন্দ উল্লাস প্রকাশ করতে থাকেন।
এ সময় বাসাবাড়ি থেকে শিশু, মহিলা ও বয়স্করা হাত নেড়ে তাদের অভিবাদন জানান। বিকাল ৪টার দিক থেকে শুরু হওয়া এই মিছিল একনাগাড়ে চলতে থাকে। কেউ কেউ মোটরসাইকেলে র্যালি দিয়ে আবার অনেকেই ট্রাক দিয়েও বিজয় মিছিল করছেন। হেঁটেও হাজার হাজার মানুষ পুরো শহর আনন্দ মিছিল করতে থাকেন। শহরের চৌমহনা ও কুসুমভাগ পয়েন্ট এলাকায় উপস্থিত জনতা একে অপরকে মিষ্টি বিতরণ করে আনন্দ উল্লাস প্রকাশ করতে থাকেন।
একপর্যায়ে দীর্ঘদিন থেকে হামলা মামলা নির্যাতন সহ্য করা মানুষ আওয়ামী লীগ নেতাদের বাসাবাড়িতে ইটপাটকেল ছুঁড়ে ধিক্কার জানায়। শহরের কুসমভাগ পয়েন্টের পুলিশ বক্সে ভাঙচুর ও আগুন দেয়। এরআগে মৌলভীবাজার মডেল থানা ঘেরাও করে হামলা করতে চাইলে অনেক সিনিয়র সিটিজেন উত্তেজিত জনতাকে নিবৃত্ত করেন। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে দিগি¦দিক পালায়। থানা ক্যাম্পাসে টহল বাড়ায় সেনাবাহিনী। শহরে একের পর এক খণ্ড খণ্ড মিছিল অলিগলি থেকে প্রধান সড়কে আসতে থাকে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে পুরো শহরের রাজপথে উঠে সাধারণ জনতার বাঁধভাঙ্গা জোয়ার।