সিরাজগঞ্জের পরিস্থিতি ফিরে আনার জন্য ছাত্র-জনতা ও দলীয় নেতাকর্মীদের মাইকিং করে শান্ত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। দেশ নায়ক বিএনপির (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু ও সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা মোস্তফা জামানসহ নেতারা এ আহ্বান জানান। নেতারা আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, গত সোমবার দুপুরে শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবরের পরপরই বিজয় মিছিল নিয়ে শহরে প্রবেশ করে হাজার হাজার ছাত্র জনতা এবং জেলা উপজেলা শহরে এ আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়। গত সোমবার রাতে ও গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা শহরের বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে শহর ও শহরতলী এলাকার বাড়িঘর, মন্দির, গীর্জায় হামলা ভাঙচুর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দলীয় কেউ জড়িত থাকলে জেলা বিএনপি কঠোর ব্যবস্থা নেবে। এছাড়াও একই নির্দেশনা উপজেলা শহরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে বিএনপি নেতারা শহরাঞ্চলে শান্তির গণসংযোগ করছে এবং দোকানপাটসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার অনুরোধও জানান। তবে সুযোগসন্ধানী কিছু মানুষ হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট করে। যারা এ ঘটনায় জড়িত তাদের চিনি না। এজন্য আমরা মাইকিং করে দিয়েছি কারো বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা কোনকিছুতে হামলা ভাঙচুর বা লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা যাবে না এবং কেউ করলে প্রতিহত করতে হবে। এছাড়া প্রত্যেক মসজিদের মাইকেও এগুলো প্রচার করতে বলা হয়েছে। তারা আরো বলেন, কঠোর আন্দোলনে স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতন ঘটেছে। এ পতনে বিজয় উল্লাস অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান সংবাদ সম্মেলন করে সবাইকে ঘরে ফিরে যেতে বলেছেন এবং আপনারা সবাই বিজয় উল্লাস করুন। তবে কোনো প্রকার ভাঙচুর লুটপাট করবেন না। সেনাপ্রধানের এ আহ্বানে আমরা সমর্থন জানিয়ে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে তারা উল্লেখ করেন।