চাঁদপুর-ঢাকা নৌপথে লঞ্চ চলাচল শুরু

এ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি পালনের দিন গত ৪ আগস্ট দেশব্যাপী রনক্ষেত্র সৃষ্টি হলে চাঁদপুর-ঢাকা নৌরুটে সব ধরণের লঞ্চ চলাচল বন্ধে হয়ে যায়। ওইদিন থেকেই কারফিউ জারি হয়। এমন পরিস্থিতিতে তিন দিন বন্ধ থাকার পর গত মঙ্গলবার রাত থেকে আবারো চালু হয়েছে ঢাকা-চাঁদপুর যাত্রীবাহি লঞ্চ চলাচল।

তবে নৌ-টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, বিগত সময়ের তুলনায় এখন যাত্রীর চাপ কম পরিলক্ষিত হচ্ছে। যাত্রী, কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় ও সার্বিক দিক বিবেচনায় দেখা গেছে, যাত্রীদের মধ্যে এখনো আতংকো কাটছে না। তাই নৌ-পথ নিরাপদ হওয়ার পরও যাত্রী সংখ্যা অনেক কম দেখা যাচ্ছে। গতকাল বুধবার এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুর নৌ বন্দরের ট্যাফিক পরিদর্শক (টিআই) মো. শাহ আলম। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে সদর ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় ৭টি লঞ্চ। আর ঢাকা সদরঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে চাঁদপুর ঘাটে আসে ৮টি লঞ্চ। যাত্রী কম থাকায় গতকাল বুধবার সকাল ৬টার নির্ধারিত লঞ্চ চাঁদপুরঘাট থেকে ছেড়ে যায়নি। যাত্রী আসার পর সকাল ১০টায় সদরঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এমভি ঈগল-৭।

এরপর সকাল ১১টায় এমভি বোগদাদিয়া-১৩ এবং দুপুর ১২টায় এমভি প্রিন্স রায়হান-১ চাঁদপুরঘাট থেকে সদরঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। সরেজমিন লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা যায়, যাত্রী সংখ্যা খুবই কম। নৌ থানা আগুন দিয়ে জালিয়ে দেয়ার কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও নেই। নৌ বন্দরে থাকা বিআইডাব্লিউটিএর কর্মচারী ও লঞ্চ মালিক প্রতিনিধিরা দায়িত্ব পালন করছেন। ট্যাফিক পরিদর্শক (টিআই) মো. শাহ আলম জানান, আজ লঞ্চ চলাচল শুরু হলেও নির্ধারিত সময় ঠিক থাকেনি। সকাল ১০টা থেকে চাঁদপুর হতে সদরঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় লঞ্চ গুলো। গত মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত ৩টি লঞ্চ ছেড়ে যায়। আর ঢাকা থেকে এসেছে ৮টি। আরো ৩টিসহ ১১টি লঞ্চ সদরঘাট থেকে আসার কথা রয়েছে।