রোহিঙ্গা অনুপ্রেবশ ঠেকাতে কোস্ট গার্ডের টহল জোরদার

দুই দিনে ৩১ রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার

প্রকাশ : ০৮ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে নৌকা যোগে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে ঢেউ ও ঝড়ের কবলে পড়ে দুটি নৌকাডুবির ঘটনায় নাফনদী ও সাগর তীরবর্তী এলাকা থেকে আরও ১২ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছেন স্থানীয় লোকজন। যেখানে ৬ শিশু ও ৬ নারী রয়েছে। এ নিয়ে দুই দিনে ৩১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৩ জন নারী, ১৫ জন শিশু ও ৩ জন পুরুষ রয়েছেন। গতকাল বুধবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ নাফনদীর জেটিঘাট এলাকা থেকে ২ শিশু ও ৩ নারী, সাগর তীববতী শাহপরীর দ্বীপ দক্ষিণপাড়া সৈকত থেকে ২ নারী ও ২ শিশু এবং পশ্চিমপাড়া সমুদ্র সৈকত থেকে ১ নারী ও ২ শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী। ইউএনও মো. আদনান চৌধুরী বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে লাশগুলো খবর জেনেছেন। স্ব স্ব এলাকার জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে লাশগুলো দাফনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, নাফনদী ও সাগর তীববতী এলাকা দিয়ে মিয়ানমার থেকে রাতের আধাঁরে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে পৃথক ঘটনায় নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে। ওইসব ঘটনায় নিখোঁজ থাকা নারী, পুরুষ ও শিশুর লাশ বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে ভেসে আসছে। এদিকে গত ৩ দিনে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে অনন্ত কয়েক হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, নৌকা যোগে বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশ করা রোহিঙ্গা অনেকেই কৌশলে ক্যাম্পে প্রবেশ করলেও বিজিবি সদস্যরা কিছু সংখ্যক আটক করেছে। তাদের বিজিবির হেফাজতে রাখা হয়েছে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে টহল এবং নজরদারি জোরদার করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। গতকাল বুধবার দুপুরে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সাব্বির আলম সুজন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত নিরাপত্তায় কঠোর নজরদারী বজায় রেখেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। চলমান পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে নাফ নদী ও সেন্টমার্টিন এলাকায় যে কোনো প্রকার অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধে টেকনাফ, শাহপরিরদ্বীপ, বাহারছড়া, সেন্টমার্টিন ও উপকূলীয় অঞ্চলে টহল জোরদার করা হয়েছে। সমুদ্রে সার্বক্ষণিক টহল জাহাজ মোতায়েনসহ নিয়মিত হাইস্পীড বোটের মাধ্যমে টহল পরিচালনা করছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। তিনি আরো বলেন, টেকনাফ, শাহপরীরদ্বীপ, বাহারছড়া ও সেন্টমার্টিনে অতিরিক্ত জনবল ও সরঞ্জাম মোতায়েন করে সার্বক্ষণিক পরিস্থতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যে কোনো প্রকার পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবং জননিরাপত্তা নিশ্চিতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।