কুমিল্লার তিতাসের বিভিন্ন স্থানে হামলা ও জায়গা দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া থানা ভবন পরিষ্কার ও যানজট নিরসনে শিক্ষার্থীরা কাজ করে যাচ্ছে। থানা ভবন থেকে লুট হওয়া অস্ত্রের মধ্যে আনসার বাহিনীর কাছে ৩টি অস্ত্র জমা পড়েছে। জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গত বুধবার উপজেলার আসমানিয়া বাজারে একাধিক দোকানঘর দখল, ইউসুফপুর গ্রামের জায়গা দখল নিয়ে দুইপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ১৫ জন আহত, বন্দরামপুর গ্রামে একাধিক বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর হয়।
উক্ত ঘটনায় মো. মাইনুদ্দিন ও টিটু মুন্সি আহত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার কলাকান্দিতে একপক্ষের ঘর ভেঙে প্রতিপক্ষ জায়গা দখল, জগতপুর প্রথম দশানী পাড়ায় ডাকাতির অভিযোগ উঠেছে এবং ডাকাতিকালে তিনজন আহত হলে তাদেরকে গুরুতর অবস্থায় ঢামেকে পাঠানো হয়েছে। রঘুনাথপুর আনন্দবাজারে দোকানপাট ও বাড়িঘর ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। একদফা দাবি আদায়ের আন্দোলনকারীদের হামলা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া থানা ভবন ও কড়িকান্দি বাজারস্থ কড়িকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ পরিষ্কার করেছে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া গত দুইদিন যাবৎ গৌরীপুর-হোমনা সড়কের কড়িকান্দি ও বাতাকান্দি বাজার অংশে যানজট নিরসনে কাজ চালিয়ে যাচেছ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আলোর বাহন, এসফা ও আপনজন। প্রশাসনের পরামর্শক্রমে এসফা সংগঠনের উদ্যোগে গত বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র ও আসবাবপত্র ফেরত দেয়ার জন্য মাইকিং করা হয়। উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মো. আল আমিন জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমরা থানায় দায়িত্ব পালন করছি। থানা ভবন থেকে সব কিছু লুট করে নেয়া হয়েছে। এসব মালামাল সংগ্রহ করা হচেছ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত পুলিশের ব্যবহৃত ৩টি অস্ত্র জমা পড়েছে।