ঢাকা ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বৃষ্টির মধ্যে লক্ষাধিক সনাতন

ধর্মাবলম্বীদের বিক্ষোভ প্রতিবাদ মিছিল নীলফামারীতে

ধর্মাবলম্বীদের বিক্ষোভ প্রতিবাদ মিছিল নীলফামারীতে

শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর সারাদেশের ন্যায় নীলফামারীতেও সংখ্যালঘু পরিবারে লুটপাট অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে, এমনকি জমিজমা দখলের অভিযোগ উঠেছে এবং তাদেরকে দেশ থেকে বিতাড়িত করতে একশ্রেণির লুটেরা হুমকিধামকি দিয়ে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় নীলফামারীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের ছাত্র যুবক শিক্ষার্থীরা জন্মভূমিতে থাকতে অধিকার আদায়ে রাজপথে নেমেছে।

‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে, তোমার আমার ঠিকানা পদ্মা মেঘনা যমুনা, তুমি কে আমি কে বাঙালি বাঙালি, জয় শ্রীরাম জয় শ্রীরাম,আমার সোনার বাংলায় বৈষম্যের ঠাই নাই’ নানান স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত নীলফামারীর রাজপথ। বৃষ্টির মাঝেও ঝাঁকে ঝাঁকে মানুষের ঢল নেমেছে পৌর এলাকার নটখানা থেকে কালি তলা পর্যন্ত যেনো শেষ নেই।

গতকাল ১০ আগস্ট দুপুরে চার দফার দাবিতে নীলফামারী সরকারি কলেজের সাবেক প্রিন্সিপাল দেবী প্রসাদ রায়ের নেতৃত্বে ও হিন্দু মহাজোটের আয়োজনে সারাদেশে সনাতনীর বাড়িঘরে লুটপাট, দেশ ছাড়ার হুমকি ধামকির প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসে। মিছিল চলাকালে প্রতিটি মোড়ে মোড়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বেচ্ছাসেবীরা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করে মিছিল কে শান্তিপূর্ণভাবে যেতে দেন। এরপর মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে নীলফামারীর স্বাধীনতা স্মৃতি অম্লান চত্বরে এসে সমবেত হয়। সভায় হিন্দু মহাজোটের সভাপতি জুয়েল রায়ের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলার সংঘলসী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান টিকেন্দ্রনাথ রায় টিংকু, মহাজোট নেতা বিপুল রায় প্রমুখ। বক্তারা অবিলম্বে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা বন্ধ, পুলিশ প্রশাসন কে তাদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত, হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে আলাদা সংসদ সদস্য রাখতে হবেসহ দাবি পেশ করেন। উল্লেখ্য যে মিছিলে জেলার ছয় উপজেলার হিন্দু সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থী, যুবক ও শান্তিকামী মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত