লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ থানায় হামলা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পর লুট হওয়া অস্ত্র-গুলি ও মূল্যবান জিনিসপত্র স্থানীয় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় উদ্ধার করা হচ্ছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অস্ত্র, গুলিসহ মূল্যবান মালামাল ফেরত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার দুপুর পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ২টি শটগান, ২টি হেন্ডকাপ, ১টি রাইফেল, ২টি পিস্তল, ৫টি রাইফেলের উপরের অংশ ও ২টি লেপটপসহ ২০০ রাউন্ড গুলি। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর বিকাল ৪টার দিকে শত শত বিক্ষুব্ধ মানুষ রামগঞ্জ থানায় হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় থানায় থাকা অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুটে নেয় তারা। অবস্থার অবনতি দেখা দিলে থানা থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বাধ্য হয় পুলিশ। পুলিশ কর্মস্থলে না থাকায় থানার নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন সেনাবাহিনী ও আনসার সদস্যরা। তবে থানা থেকে কী পরিমাণ অস্ত্র লুট হয়েছে, সেই বিষয়ে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।
রামগঞ্জ উপজেলা আনসার ও ভিডিপির কোম্পানি কমান্ডার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, গত শুক্রবার থানার পুকুর থেকে দুটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়, বিকালে একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার একটি অস্ত্রসহ কয়েক রাউন্ড গুলি ও একটি লেপটর উদ্ধার করা হয়। পুলিশ এখনো থানায় দায়িত্ব নেয়নি। আনসার ভিডিপি সদস্যরা থানার নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন।
রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. শারমিন ইসলাম জানান, লুট হওয়া অস্ত্রগুলো ফেরত দিতে উপজেলাব্যাপী প্রচারণা চালানো হচ্ছে। সব মসজিদে আজানের পুর্বে লুণ্ঠিত অস্ত্র ফেরত দেয়ার জন্য অনুরোধ করে মাইকে প্রচার করা হচ্ছে। উক্ত প্রচারণায় কেউ কেউ নিজ দায়িত্বে অস্ত্র ফিরিয়ে দিচ্ছেন। আশা করছি দুই এক দিনের মধ্যে সবার অস্ত্রই ফেরত পাওয়া যাবে।