বেনাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে ভ্রমণ ও বিজনেস ভিসাযাত্রী যাতায়াত বন্ধ

প্রকাশ : ১১ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  বেনাপোল প্রতিনিধি

সম্প্রতি সহিংস ঘটনায় নিরাপত্তা এবং অপরাধ সংগঠিতের সঙ্গে জড়িত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী, মন্ত্রী-এমপি, সন্ত্রাসী ও দুর্নীতিগ্রস্থ ব্যক্তিরা যাতে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে না পারে সে কারণে বেনাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে যাত্রী যাতায়াত সীমিত করা হয়েছে। তবে মেডিকেল ভিসার বাংলাদেশি যাত্রী এবং ভারতীয় যাত্রী যারা বাংলাদেশে অবস্থান করছেন তারা ভারতে প্রবেশ করতে পারছেন। গতকাল শনিবার সকালে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের একটি সূত্র এ তথ্য জানান। গত মঙ্গলবার থেকে যাত্রী যাতায়াত সীমিত করা হয়েছে। তবে জরুরি চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী রোগীরা মেডিকেল ভিসার যাত্রী এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত ভারতীয় যাত্রীরা ভারতে প্রবেশ করতে পারছেন। রিপোর্ট লেখা এখন পর্যন্ত প্রায় ৭ হাজার যাত্রী দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করেছে অন্য দিকে পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন কোনো ভারতীয় যাত্রীকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না। ভারতে অবস্থানকারী বাংলাদেশি পাসপোর্টযাত্রীরা নিজ দেশে ফিরতে পারছেন।

বাংলাদেশ থেকে ফিরে যাওয়া ভারতীয় যাত্রী সমীর সরকার বলেন, বাংলাদেশে আমার বাপ-দাদার বাড়ি। ক’দিনের জন্য বেড়াতে এসেছিলাম। এদেশের অবস্থা খারাপ দেখে তাড়াতাড়ি চলে যাচ্ছি। চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়া যাত্রী শাহিদা খাতুন জানান, আমার স্বামীর হার্টের চিকিৎসার জন্য কয়েকমাস অন্তর ভারতে যাওয়া লাগে। আজ বর্ডারে এসে দেখছি হাতে গোনার মতো যাত্রী যাতায়াত করেছে। কেমন একটা ভয় ভয় লাগছে। পাসপোর্টধারী ভারতে বেড়াতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বেনাপোল এসেছিলাম। ইমিগ্রেশনে পাসপোর্ট সিল করার জন্য গেলে আমাকে ফিরিয়ে দিলেন। এখন যাওয়া যাবে না বলে অফিসাররা জানান। বেনাপোল ইমিগ্রেশনের অফিসার ইনর্চাজ আযহারুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি সহিংস ঘটনায় নিরাপত্তাজনিত কারণে বেনাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে যাত্রী যাতায়াত সীমিত করা হয়েছে। ভুয়া নাম পদবী ব্যবহার করে আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মী, এমপি-মন্ত্রী বা দুর্নীতিগ্রস্ত কোনো ব্যাক্তি দেশ ত্যাগ করে ভারতে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য আপাতত যাত্রী যাতায়াত সীমিত করা হয়েছে। তবে কিছু কিছু ভ্রমন ভিসার যাত্রীরা ভারতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বিভিন্ন গোয়েন্দাদের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদ করে অনুমতি দেয়া হচ্ছে। ওসি ইমিগ্রেশন জানান উল্লেখ গত বুধবার ভুয়া নাম ব্যবহার করে ভারতে যাওয়ার সময় ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বন্দুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সজীবকে আটক করে বিজিবি পরে তাকে।