সংকটে জনতার পাশে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান

প্রকাশ : ১১ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতনিধি

চলমান রাজনৈতিক সংকটে সারা দেশে যখন অস্বাভাবিক পরিবেশ করছে। এ সময় মাধবপুর বাসির পাশে দাড়িয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. শাহজাহান। গত ৩/৪ দিন মাধবপুরে যাতে সহিংস ঘটনা না ঘটে তিনি সব শ্রেণির পেশার লোকজনদের নিয়ে প্রতিটি ইউনিয়নে সাবর্ক্ষণিক সবার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।

গত কয়েকদিন ধরে মাধবপুর থানা ও ফাঁড়িতে পুলিশ শূন্যতা দেখা দিলে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। নিরীহ লোকজনের আশংকা ছিল রাজনৈতিক ডামাডোলে বাড়িঘরে আগুন, লুটতরাজ ও খুন খারাপি ঘটতে পারে। এমন আশংকায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িযে। ঠিক এ মুহূর্তে হবিগঞ্জ জেলার বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি, মাধবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএফএএম শাহজাহান প্রতিটি ইউনিয়নে গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে বসে সাহস যুগিয়েছেন। তিনি বলেন, মাধবপুরের মানুষ শান্তিপ্রিয়। রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলে কোন হানাহানি বা প্রতিহিংসা নেই। যুগ যুগ ধরে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষ সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বজায় রেখে চলছে।এটি মাধবপুরের ঐতিহ্য। জাতীয় পর্যায়ে দেশে রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হতে পারে আবার যথাসময়ে স্বাভাবিক হয়ে যায়। কিন্তু এই সংকটকালে কেউ যাতে কারো প্রতি প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে জানমালে ক্ষতি সাধন না করতে পারে সেজন্য সবার প্রতি অনুরোধ করা হয়েছে। এ কারণে মাধবপুরে কোনো ধরনের সহিংসতা ঘটেনি। মাধবপুর বাজারের ব্যবসায়ী কাজল রায় বলেন, বাজারের ব্যবসায়ীরা চরম আতংকের মধ্যে ছিল কিন্তু সংকটের সময় তিনি ব্যবসায়ী সমাজের পাশে বুক পেতে দাঁড়িয়েছেন সেজন্য বাজারে কোনো অঘটন ঘটেনি। কিছু দুর্বৃত্ত চেয়েছিল রাজনৈতিক ডামাডোলে লুটতরাজ করতে কিন্তু জনপ্রতিনিধি মাঠে শক্ত অবস্থানে থাকায় তা করতে পারেনি। বুল্লা ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জানান, মাধবপুরে ১১ টি ইউনিয়নে মানুষের মধ্যে ভয় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। গত কদিন ধরে থানা ও ৪ টি ফাঁড়িতে কোনো পুলিশ ছিল না। এ খবরে সবাই আতঙ্কিত হয়ে যান।

বিশেষ করে সনাতন সমাজের লোকজন বেশি ভয় পান। উপজেলা চেয়ারম্যান ওই মুহূর্তে সমাজের বিভিন্ন পেশা ও মতের মানুষ সঙ্গে কথা বলে মাধবপুরের সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি ধরে রেখেছন। জগদীশপুর চা বাগানের ইউপি সদস্য সন্তোষ মুন্ডা জানান, চা বাগানে আতঙ্ক বেশি ছিল কখন কি হয় ? কিন্তু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দৌড়ে সবার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। যার কারণে কোন সমস্যা হয়নি। এটি ইতিহাস হয়ে থাকবে।