ছাত্র জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিভিন্ন স্থানে কিছু হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। গত ৫ আগষ্ট দুপুরের পর কয়রা সদরে ছাত্র জনতার মিছিলে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। গুলিতে ৯ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে একজন মারা যায় এবং দু’জনের অবস্থা আংশকাজনক। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসভবন ঘেরাও করে চেয়ারম্যান জিএম মোহসিন রেজাকে অবরুদ্ধ করে। সংঘর্ষে উপজেলা চেয়ারম্যান মারা যায়। গত কয়েকদিনে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা কম থাকায় দক্ষিণ বেদকাশি, উত্তর বেদকাশি, কয়রা সদর, মহেশ্বীপুর, আমাদি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি স্থানে বসতবাড়ি, দোকানপাট ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। গত বৃহস্পতিবার থেকে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের নিয়মিত টহলে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। গত শুক্রবার বিকেলে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পরিষদ মিলনায়তনে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিএম তারিক উজ-জামানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নৌবাহিনীর কনটিনজেন্ট কমান্ডার লে. মো. ওমর ফারুক।
বক্তব্য রাখেন থানা অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব নুরুল আমিন বাবুল, যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ হাসান, জামায়াতের উপজেলা আমীর মাও. মিজানুর রহমান, সেক্রেটারি মাও. সাইফুল্লাহ, সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। প্রধান অতিথি নৌ কমান্ডার লে. মো. ওমর ফারুক সভায় অবহিত করেন কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, ছাত্র সমাজ মানুষের জানমাল ও ধর্মীয় উপাসনালয়গুলো যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। অপ্রীতির ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনে পুলিশ ও আইনশঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অবহিত করবেন। সভায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, সাংবাদিক, এনজিও প্রতিনিধিসহ সুশীল সমাজের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।