মিথ্যা মামলায় ব্যবসায়ীকে হয়রানির অভিযোগ

প্রকাশ : ১২ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে জায়গা-জমির সীমানা বিরোধের জের ধরে জামায়াত সমর্থিত আবদুচ ছবুর নামে এক ব্যবসায়ীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার বড় ভাই আজিজুল হক। গত শনিবার সন্ধ্যায় বাঁশখালী প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিতে বক্তব্যে জানা যায়, চাম্বল ইউপির পশ্চিম চাম্বল বাংলা বাজার এলাকার আওয়ামী লীগ সমর্থিত আবু বক্করের সাথে দীর্ঘদিন ধরে একই এলাকার বাংলা বাজার বোট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও যুব উন্নয়ন সমবায় সমিতির অর্থসম্পাদক আবদুচ ছবুর ও তার বড় ভাই আজিজুল হকের সাথে জায়গা-জমির বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে গত ১ জুন ২৪ইং রাতে আবু বক্কর রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারত করে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে আবদুচ ছবুরের সাগরে মাছ ধরার কাজে ব্যবহৃত জালের গোডাউনে অস্ত্র ডুকিয়ে দিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। সেই মামলায় দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে আছেন আবদুচ ছবুর। অপরদিকে বাংলাবাজার এলাকার মৃত আব্দুল হামিদের পুত্র স্ক্রাপ ব্যবসায়ী আবদুল আজিজ ও তার ছেলেকে মিথ্যা ধর্ষণ মামলার ভয় দেখিয়ে তাদের জিম্মি করে নগদ চার লাখ এবং পঞ্চাশ হাজার টাকার চেক হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগও রয়েছে এই আবু বক্করের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে সাংবাদিক সম্মেলন করে আবদুচ ছবুরের ভাই আবদুল আজিজ বলেন, আমার ভাই একজন প্রসিদ্ধ ব্যবসায়ী। পাশাপাশি সে বাংলাবাজার বোট ব্যবসায়ী সমিতি সাধারণ সম্পাদক ও যুব উন্নয়ন সমবায় সমিতির অর্থ সম্পাদক। আমাদের বাড়ির সীমানা নিয়ে আমাদের বাড়ির পার্শ¦বর্তী আবু বক্করের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমি ও পরিবার রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক হওয়ায় বিগত ১০-১২ বাছর ধরে আবু বক্কর নিজেকে আওয়ামী লীগের নেতা দাবি করে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে কিশোর গ্যাং সৃষ্টি করে এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে একের পর এক আমি ও আমার ভাইকে বিভিন্ন মামলা হামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় আবু বক্কর ও তার আওয়ামী বাহিনীর ইশারায় আমার ছোট ভাই আবদু ছবুরকে গন্ডামারা ইউপির পূর্ব বড়ঘোনা তথা বাংলাবাজার ব্রিজের পশ্চিম পাশ থেকে পরিকল্পিতভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ভুল তথ্যের মাধ্যমে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত করে গত ৩১ মে রাতে ১১টার সময় ধরে নিয়ে কক্সবাজার জেলার পেকুয়া থানা এলাকায় নিয়ে যায় এবং দুই দিন পরে পেকুয়া থানা এলাকা থেকে আটক দেখিয়ে সাজানো মিথ্যা অস্ত্র মামলায় আটক করে। মূলত আমি ও আমার পরিবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক মতাদর্শী হওয়ায় এটাই আমাদের অপরাধ। আমরা এ ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। এ সময় তিনি আরো বলেন, গত ৪ আগস্ট চাম্বল বাজারে কোটাবিরোধী আন্দোলনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের লাঠিসোটা, অস্ত্র সাপ্লাই করা হয় অভিযুক্ত করে আবু বক্করের দোকান থেকে। সেখান থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে লাঠিসোটা নিয়ে বাঁশখালী জেনারেল ও ন্যাশনাল হাসপাতালে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।