ঢাকার ধামরাইয়ে সরকার দলীয় ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে দখলে রাখা এক অসহায় কৃষক পরিবারের ৩৯ শতাংশ জমি পুনরুদ্ধার করলো সাধারণ ছাত্র জনতা। গত শনিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার চৌহাট ইউনিয়নের বাঙ্গলা গ্রামে এমন ঘটনা ঘটে।
সরেজমিন গেলে ভুক্তভুগী জাহাঙ্গীর আলম জানায়, আমরা অসহায় গরিব কৃষক, আরএস রেকর্ডিয় পর্চামুলে বাংলা মৌজার ৬৩ নং খতিয়ানে ৩৪৩ ও ৩৪৯ নং দাগে মোট জমি ৭৮ শতাংশ জমি যাহার কাতে ৩৯ শতাংশ জমির মালিক আমার বাবা চাঁন মিয়া, আমার বাবার মৃত্যুর পর আমরা তিন ভাই আবুল হোসেন, সেলিম হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম ওয়ারিশ সূত্রে মালিক হই, উক্ত জমি আমাদের নামে নামজারী জমাভাগ করে হালসন পর্যন্ত খাজনাদী দেয়া আছে।
আমাদের ভোগ দখলীয় জমি ২০১৯ সালে সরকার দলিয় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে চৌহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে রাতের আঁধারে জোর করে ঘর নির্মাণ করে। আমরা গরিব কৃষক মানুষ ভয়ে কিছু বলতে পারিনি, তখন আমরা ধামরাই থানা একটি সাধারণ ডায়রী করি, ডায়রী নং ১৮৩/৯-১২-২০১৯, সে মতে ঘটনা কয়েকটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রতিবেদন হয়। অদ্যাবধি তাদের দখলে রাখা আমাদের জমি শনিবার সকালে স্থানীয় সাধারণ ছাত্র জনতা ভূমিদূস্য মুজিবুর রহমান গংদের নিকট থেকে পুনরুদ্ধার করে আমাদের ফিরিয়ে দেয়, আমরা এই ছাত্র জনতার প্রতি চিরকৃতজ্ঞ।
স্থানীয় হুমায়ুন কবির এই বিষয়ে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অসহায় কৃষক পরিবারের জমিটি আওয়ামী লীগের ক্ষমতার দাপটে জোর করে মুজিবুর রহমান দখলে নেই। পরে স্থানীয় ছাত্র-জনতা পুনরুদ্ধার করে ওই অসহায় কৃষকদের জমি ফিরিয়ে দেয়। আমরা চাই এ দেশে যেনো কোনো ভূমিদস্যু আর না থাকে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুর রহমান বলেন আমার ক্রয়কৃত জমি আমি ঘরবাড়ি করে ভুগদখলে আছি, আমি কারো জমি দখল করিনি ওরা জমি বিক্রি করে আবার সেই জমি নিজেদের বলে দাবি করছে, আসলে তারা মিথ্যাবাদী, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করছে।
এ বিষয়ে চৌহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পারভীন হাসান প্রীতি বলেন, আমি মুজিবুর রহমান গংদের কয়েক দফা নোটিশের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকেছি; কিন্তু তারা আমার ইউনিয়ন পরিষদে না এসে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে কৃষকের জমিটি দখল করে রেখেছিল।