সিরাজগঞ্জের সাবেক ছয় এমপিসহ আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী আত্মগোপনে রয়েছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর তারা এ আত্মগোপন করেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সারা দেশের ন্যায় সিরাজগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে ছাত্র-জনতা। গত ৪ আগস্ট শহরে এ আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর আওয়ামী লীগের হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ সংঘর্ষে বিচ্ছিন্নভাবে বিএনপিও জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে যুবদল নেতা ও ছাত্রসহ তিনজন নিহত হয়। এ ঘটনায় শহর উত্তপ্ত হয়ে পড়ে। এতে বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা ৪ ও ৫ আগস্ট ৬ এমপিসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর বাড়ি ভাঙচুর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা এবং ক্ষতিগ্রস্ত এমপি ড. জান্নাত আরা হেনরীর বাড়ি থেকে দুইজনের কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। এ হামলার পরেই জেলার ছয়টি আসনের চয় এমপিসহ নেতাকর্মীরা আত্মগোপন করেন। এনায়েতপুর থানায় হামলার ঘটনায় ১৩ জন পুলিশসহ ১৫ জনের মৃত্যু, রায়গঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাংবাদিকসহ ছয়জন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো দুই পুলিশ সদস্য মারা যায়। অবশ্য সেনা সদস্যরা এমন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছেন। এদিকে আওয়ামী লীগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতাকর্মী জানান, এমপিসহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ কোথায় আছেন জানা নেই। তবে পরিস্থিতি ভালো হলে অনেকেই বাড়ি ফিরে আসতে পারে। এছাড়া আর কোনো মন্তব্য করতে তারা অস্বীকার করেন।