ঘোড়াঘাটে ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ

প্রকাশ : ১২ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মাহতাব উদ্দিন আল মাহমুদ, ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর)

চলতি আমন মৌসুমে খরিপ-১এ ১৭ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে উপজেলা কৃষি বিভাগ। এই উপজেলায় আগাম জাতের রোপা আমন ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে ৪ হাজার ১৬০ হেক্টর জমিতে। ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. রফিকুজ্জামান এই তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, এ জেলায় চলতি আমন চাষ মৌসুমে খরিপ-১এ ১৭ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে উচ্চ ফলনশীল জাতের ৩ হজার ২৩০ হেক্টর, হাইব্রিড জাতের ৯৩০ হেক্টর। চাল উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৭ হাজার ৩৯৭ টন। ফলে রোপা আমন চাষে এবার কোনো সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। গত ৫ জুলাই থেকে উপজেলায় প্রায় ৪ হাজার ১৬০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের আমন ধান রোপণ হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। রোপা আমন চাষের জন্য উপজেলাভিত্তিক লক্ষ্যমাত্রাও নির্ধারণ করা হয়েছে। ঘোড়াঘাট উপজেলায় ১৭ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আমনের চায় করা হয়েছে। কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. রফিকুজ্জামান জানান, জেলায় চলতি আমন মৌসুমে রোপা আমন চাষ সফল করতে ১ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়। চলতি জুলাই মাসের প্রথম থেকেই জেলায় আগাম জাতের আমন ধান রোপণ কার্যক্রম শুরু করেছে কষকরা।

তিনি আরো জানান, চলতি আমন মৌসুমে বাম্পার আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত করার লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

এজন্য বিএডিসি বিভাগ পর্যাপ্ত পরিমাণ কৃষকদের চাহিদা অনুযায়ী রাসানিয়াক সার তাদের গুদামে আগাম মজুত রেখেছে। এ উপজেলায় বিএডিসি তালিকাভুক্ত ও বিসিআইসিসহ ১৯ জন রাসায়নিক সারের মজুত রেখেছে। ডিলারদের ১১ জুলাইয়ের মধ্যেই তাদের চাহিদা অনুযায়ী ইউরিয়া, ডিওপি, টিএসপি এবং এমওপি সার সরবরাহ করা হয়েছে। প্রত্যেক ডিলারের অধীনে তিনজন করে সাব-ডিলার রয়েছে। কৃষকদের আমন চাষে রাসায়নিক সারের কোনো ধরনের ঘাটতি না হয় এজন্য বাজারে সারের অবাধ সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।