পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) আগামী ২৪ ঘণ্টার ভেতরে ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সব প্রকার লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের জন্য প্রশাসনকে আল্টিমেটাম দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে সব প্রকার রাজনীতি নিষিদ্ধসহ ১৩ দফা দাবি পেশ করেন সমন্বয়করা। শিক্ষার্থীদের ১৩ দাবি হলো: ১) আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্যাম্পাসে সব ধরনের লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি (ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী) নিষিদ্ধ ঘোষণা করে অফিস আদেশ জারি করতে হবে। ২) দ্রুত সময়ের ক্লাস, পরীক্ষা তারিখ ঘোষণা ও আবাসিক হলসমূহ খুলে দিয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। ৩) আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রেজিস্ট্রার, প্রক্টরসহ প্রক্টরিয়াল বডি, ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরের পরিচালক, পরিবহন পুলের প্রশাসক, ক্যাফেটেরিয়া প্রশাসক, জনসংযোগ দপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক, শারীরিক শিক্ষা দপ্তরের পরিচালকে বদলি করতে হবে। ৪) দ্রুত সময়ের মধ্যে ছাত্র সংসদ গঠন ও নির্বাচনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ৫) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মাসিক মতবিনিময় সভা করতে হবে। ৬) মেডিকেল সেন্টারে ২৪ ঘণ্টা জরুরি সেবা চালু ও সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে। ৭) নামাজের বিরতি (যোহরের নামাজ) রেখে ক্লাস রুটিন প্রণয়ন এবং মসজিদে মেয়েদের নামাজের স্থান সংস্কার করতে হবে। ৮) যে সব বিভাগে এখনো সেশনজট বিদ্যমান, সে সব বিভাগে সেশনজট নিরসনে প্রতি সেমিস্টার তিন (৩) মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে। ৯) ক্লাস চলাকালীন বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে হবে। ১০) বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিজ্ঞাপন ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের মাধ্যমে দিতে হবে। যে সব পত্রিকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি নিয়োগ দিবে না, সে সব পত্রিকায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞাপন দেয়া বন্ধ করতে হবে। ১১) ক্যাম্পাস থেকে রাতের শেষ বাস ছেড়ে যাওয়ার সময় অব্দি লাইব্রেরি ও ক্যাফেটেরিয়া খোলা রাখতে হবে। ১২) নির্মীয়মাণ আবাসিক হল, একাডেমিক ভবনের কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করে চালু করতে হবে। ১৩) অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাবর্তনের আয়োজন করতে হবে। উপাচার্যের সঙ্গে দেখা শেষ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা বলেন, আমরা আগামী ২৪ ঘণ্টার ভেতরে ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সব প্রকার লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছি। ম্যাম এই কাজটি আমাদের দ্রুত করে দেয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপ শেষে উপাচার্য ড. প্রফসর হাফিজা বেগম বলেন, আমি দাবিদাওয়াগুলো মেনে নেয়ার আশ্বাস দিচ্ছি। তবে সবগুলো দাবি এক সঙ্গে পূরণ করতে পারব না। পর্যায়ক্রমে দাবি দাওয়াগুলো পূরণ করতে চেষ্টা করব।