ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

শ্যামনগরে হোটেল রেস্তোরাঁ

বিক্রি হচ্ছে পচা-বাসি ও নিম্নমানের খাবার

অভিযান দাবি সচেতন মহলের
বিক্রি হচ্ছে পচা-বাসি ও নিম্নমানের খাবার

শ্যামনগর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের তিন শতাধিক গ্রাম গঞ্জের ছোট-বড় হাট বাজার গুলোতে গড়ে ওঠা হোটেল রেস্তোরা এবং বাজারের দোকানে প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে পচা-বাসি, ভেজাল খাবার। খাবারের মধ্যে রয়েছে, রান্না করা মাছ, মাংস, বিভিন্ন তরকারি, ডাল, শিংগাড়া, বিভিন্ন ধরনের চপ, পেয়াজু। মিষ্টির মধ্যে রসগোল্লা, জিলাপী, চমচম, দই ইত্যাদি। তরিতরকারীর বিষয়ে লুকোচুরি, মিথ্যার আশ্রয়ের বিষয়টি বারবার জনগণের মাঝে আলোচিত হচ্ছে। প্রায় প্রতিনিয়ত অভিযোগ উঠে এক শ্রেণির অসাধু হোটেল মালিক ও বাজারের দোকানের মালিক ব্যবহৃত বহুদিনের পুরাতন ভাজা তেল, মসলার মধ্যে নতুন দিনের মাছ, মাংস রান্না করে থাকে। ভেড়ার মাংস, বকরির মাংস খাসির মাংস বিক্রি করা হয় বলে জানা গেছে। আবার বিভিন্ন চপ, পেয়াজু, শিংগাড়া, দোকান মালিকগুলো নিজে অথবা কর্মচারীর দ্বারা অনেক দিনের পুরাতন পাম, সোয়াবিন তেলে নতুন ভাবে চপ, পেয়াজু, ছোলাভাজা, চানাচুর, শিংগাড়া ভেজে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনেকে অভিযোগ করে বলাবলি করছে হোটেল রেস্তোরাঁ ও ভাজার দোকানের তেল তাদের বেচে থাকাকালীন শেষ হয় না। এভাবে বছর কে বছর এক তেলে বিভিন্ন খাবার ভেজে বিক্রি করছে বলে একাধিক সূত্রে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পোল্ট্রি বা ব্রয়লার মাংস, বিক্রি করছে দেশি মুরগীর মাংস বলে। গ্লাস কাপ বা অপেক্ষাকৃত কম মূল্যের মাছ ভেটকি, রুই, কাতলা বলে বিক্রি করার অভিযোগ বার বার উঠছে। হোটেল রেস্তোরাঁ গুলোতে রান্নার আগে এবং রান্নার পরে তদারকির ব্যবস্থা অপরিহার্য বলে মনে করেন সচেতন মহল। বাসি খাবার মানব দেহের জন্য বিশেষ ক্ষতির কারণ অথচ মিষ্টি বা রান্না করা ভাত, মাছ, মাংস পচা বাসি কি না তারো তদারকির অভাব। এসব ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করেছে বলে ভুক্তভোগী মহলে অভিযোগ উঠেছে। শ্যামনগর উপজেলার পাশাপাশি বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে হোটেল রেস্তোরাঁ ও ভাজার দোকান গুলোকে পচা বাসি খাবার মুক্ত করণের জন্য অবিলম্বে তদারকির ব্যবস্থা গ্রহণ করা অপরিহার্য। বিভিন্ন ধরনের খাবারের পাশাপাশি ভাজা খাবার বিশেষ করে চপ, পেয়াজু, ছোলা, নিমকি, পুরি মুখরোচক খাবার, অভিযোগ উঠেছে এ সব ভাজা খাবার প্রস্ততের উপকরণ ও তেলের গুণাগুণ নিয়ে। কোনো কোনো অসাধু ব্যবসায়ীরা নিম্নমানের তেল এবং নিম্ন মানের বেসনের মাধ্যমে কখনো কখনো পুরাতন তেল (ব্যবহৃত) দিয়ে ও বিভিন্ন ধরনের ভাজা খাবার তৈরি করা হয়। সম্প্রতি স্থানীয়ভাবে সৃষ্ট বেকারিগুলোর বিভিন্ন ধরনের কেক, পাউরুটি, বিস্কুট, ক্রিম রোল, তেলের পিঠা, লাড্ডুসহ বিভিন্ন ধরনের চমকপ্রদ নামের খাদ্যের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

কিছু কিছু প্যাকেটের স্টিকারে মেয়াদের তারিখ লেখা থাকছে অথচ এমনো দেখা যাচ্ছে যে, উৎপাদনের তারিখ হিসেবে লেখা হচ্ছে যে খাবার তা পূর্বেই বাজারে বিক্রি হচ্ছে। মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর বিশেষ করে শিশুদের জন্য ক্ষতিকর বিভিন্ন ধরনের মানহীন খাবার সেই সঙ্গে স্থানীয় প্রযুক্তিতে তৈরি আইসক্রীম শিশু কিশোরদের স্কুলের পাশে বিক্রি করা দেখা যায়। জনসাধারণকে সুস্থ রাখতে ভেজাল খাদ্য থেকে দূরে রাখতে অবিলম্বে ভেজাল খাদ্যের বিরুদ্ধে অভিযান অপরিহার্য। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে হোটেল রেস্তোরাঁর খাবার। এ ব্যাপারে কথা হয় শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে তিনি বলেন, দ্রুত অভিযান পরিচালনা করা হবে। এসব ব্যাপারে তদারকি পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী ও সচেতন মহল।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত