লাপাত্তা ভিসির পদত্যাগ দাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের
প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর), প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারীকৃত বিজ্ঞপ্তির পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ আগস্ট নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় ও আবাসিক হলসমূহ গত ৬ আগস্ট থেকে খোলা হলেও এখন পর্যন্ত লাপাত্তা নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি। ফলে ক্যাম্পাস খুললেও ব্যাহত হচ্ছে একাডেমিক কার্যক্রম। পিছিয়ে যাচ্ছে ক্লাস, পরীক্ষা। সত্যি হতে হচ্ছে সেশনজটের শঙ্কা। ক্যাম্পাস খুললেও উপাচার্য না থাকায় শিক্ষার্থীরা তুলতে পাচ্ছেন না সনদপত্র ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রবীন শুত্রধর রাশিয়ার ‘N. I. Lobachevsky State University of Nizhny Novgorod’ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুল ফান্ড স্কলারশিপে পড়ার সুযোগ পেলেও জমা দিতে পারছেন না মূল সনদপত্র। ৪০ দিন ধরে চেষ্টা করেও এখনো সনদপত্র হাতে পাননি তিনি। এদিকে নির্দিষ্ট সময় শেষ হতে চলেছে বলে জানান তিনি। তাই দ্রুত সনদপত্র পাওয়ার দাবিতে গত ১২ আগস্ট রাতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন তিনি। এ সম্পর্কে রবীন শুত্রধর বলেন, আমি রাশিয়ার ‘N. I. Lobachevsky State University of Nizhny Novgorod’ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুল ফান্ড স্কলারশিপে পড়ার সুযোগ পেলেও সনদপত্র জমা দিতে পারছি না। সময় ফুরিয়ে আসছে। সনদের জন্য কর্মকর্তাদের পা ধরা বাকি রেখেছি। মাঝে অস্থিতিশীল পরিবেশ ও বর্তমানে উপাচার্য না থাকায় ওনারা আমাকে সনদপত্র দিতে পারছেন না। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে জানালেও কাজ হয়নি। আমি ৪০ দিন ধরে চেষ্টা করছি। এখনো সনদপত্র হাতে পাইনি। এদিকে উপাচার্যের পদত্যাগসহ ৩ দফা দাবিতে টানা ৪র্থ দিনের মতো বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। ৩ দফা দাবিতে জানানো হয়, ভিসি, রেজিস্ট্রার, ট্রেজারার, পরিবহন প্রশাসক, ডিপিডি হাফিজ ও জুবায়েরকে দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করতে হবে, সব ধরনের দলীয় ছাত্র, শিক্ষক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারী রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে এবং এর ব্যত্যয় ঘটলে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান করতে হবে, প্রশাসনের প্রহসনমূলক প্রজ্ঞাপন বাতিল করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন প্রশাসনিক দায়িত্ব বণ্টন করতে হবে। অন্যদিকে গতকাল ভিসি পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষকদের একটি অংশ। এর আগে গত ১২ আগস্ট ভিসি প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখরের পদত্যাগের দাবিতে ও সব বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমরণ অনশনে বসেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্ট্যাডিজ বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শুভ। পরে রাতে অসুস্থ হলে তাকে মেডিকেলে নেয়া হয়। এ ব্যাপারে ভিসি প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখরের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। পরে উপাচার্যের পি. এস. কে ফোন দিলে তিনি জানান, ক্যাম্পাস খুলে দেয়ার পর স্যার অফিস করেননি। তিনি ঢাকায় আছেন। তাকে ফোন দিলেও তিনি ধরছেন না। তার সঙ্গে আমার কথা হয়নি।