নাম তার মো. দেলোয়ার হোসেন প্রায় ৩০ বছর ধরে মুন্সীগঞ্জ পৌর মার্কেটে অবস্থিত জেলা বিএনপি অফিসের অফিস সহকারী হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের শত বাঁধা বিপত্তিতেও অফিস ছেড়ে চলে যাননি। কার্যালয়টি আসা নেতাকর্মীরা তাকে অনেক স্নেহ করেন। সবার কাছে তিনি দেলু নামে পরিচিত। বাড়তি কোনো সুবিধা কখনো তিনি নেননি। অফিস সহকারী দেলোয়ার বলেন, এখানে সবাই আমাকে স্নেহ করেন। মাসিক ১০ হাজার টাকা বেতন পাই তা দিয়েই চলে যায় আমার সংসার। শহরের খালিষ্ট এলাকায় ভাড়া বাসায় স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তান নিয়ে থাকি। বড় মেয়ের নাম দুলাতা তার বয়স ২২ সে প্রতিবন্ধী, ছোট মেয়ের নাম সুমাইয়া আক্তার তার বয়স ১৮ সে শহরের মহিলা কলেজে পড়ে। স্ত্রী আলো বেগম পেশায় গৃহীনী। বিএনপি অফিসে দীর্ঘ বছর কাজ করার সুবাধে সবার সঙ্গে সুন্দর সম্পর্ক গড়ে উঠে অন্য কোথাও কাজ করার ইচ্ছা জাগেনি। দেখেছি আওয়ামী সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতাকর্মী আমাদের অফিসে গিয়ে লাঠি দিয়ে পেটিয়েছেন বিএনপি নেতাকর্মীদের। এতো কিছুর পরও ছেড়ে যাইনি প্রাণের অফিসটি। স্বৈরাচারী সরকার শেখ হাসিনার পতন হয়েছে। আশা করছি আবারো আগের মতো বিএনপির নেতাকর্মীদের পদচারনায় মুখরিত হবে জেলা বিএনপি পার্টি অফিস। নেতাকর্মীদের সবাইকে দেখবো মনে এক ধরনের অনন্দের বন্যা বইছে। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল হাই ও যুগ্ন আহ্বায়ক মো. মহিউদ্দিন স্যারসহ অনান্য নেতাকর্মীরা আমাকে নানা সময়ে অনেক সহযোগীতা করেছেন। তাদের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা। বাকিটা সময় তাদের সঙ্গে কাটিয়ে দিতে চাই।